লন্ডন নতুন কি ভিসা চালু হচ্ছে 

হ্যাঁ, লন্ডনে নতুন দুটি ভিসা চালু হচ্ছে। একটি হল “সিজনাল ওয়ার্কার ভিসা” এবং অন্যটি হল “স্টার্টআপ ভিসা”।

  • সিজনাল ওয়ার্কার ভিসা

এই ভিসায় লন্ডনে কৃষি, পর্যটন, পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, নির্মাণ ইত্যাদি খাতে 6 মাস থেকে 12 মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর অবশ্যই ন্যূনতম 18 বছর বয়সী হতে হবে, এবং তার ন্যূনতম একটি স্কিল বা ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ স্কিল ট্রেনিং কোর্স বা ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে।

  • স্টার্টআপ ভিসা

এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈদ্যুতিক, টেকনোলজি বা উদ্ভাবনী খাতে একটি স্টার্টআপ ব্যবসা থাকতে হবে। আবেদনকারীর অবশ্যই ন্যূনতম 50,000 পাউন্ডের মূলধন থাকতে হবে। আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ স্কিল ট্রেনিং কোর্স বা ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে।

এই দুটি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি হল 1,200 পাউন্ড।

লন্ডনে নতুন ভিসার সুবিধা

এই নতুন ভিসার মাধ্যমে লন্ডনে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ভিসার মাধ্যমে আসা শিক্ষার্থীরা লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে পড়াশোনা করতে পারবে। কর্মীরা লন্ডনের বিভিন্ন খাতে কাজের সুযোগ পাবে।

এই নতুন ভিসার মাধ্যমে লন্ডনের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

লন্ডন সিজনাল ওয়ার্কার ভিসা কি 

লন্ডন সিজনাল ওয়ার্কার ভিসা হল একটি নতুন ভিসা যা লন্ডনে কৃষি, পর্যটন, পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, নির্মাণ ইত্যাদি খাতে 6 মাস থেকে 12 মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়। এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর অবশ্যই ন্যূনতম 18 বছর বয়সী হতে হবে, এবং তার ন্যূনতম একটি স্কিল বা ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ স্কিল ট্রেনিং কোর্স বা ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে।

এই ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • আবেদনকারীর অবশ্যই ন্যূনতম 18 বছর বয়সী হতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি স্কিল বা ডিগ্রি থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ স্কিল ট্রেনিং কোর্স বা ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি ওয়ার্ক অফার থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উপস্থিত হতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই 1,200 পাউন্ডের আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

এই ভিসার সুবিধাগুলি হল:

  • লন্ডনে 6 মাস থেকে 12 মাসের জন্য কাজ করার অনুমতি।
  • যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার অধিকার।
  • যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ।

এই ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর লন্ডন সিজনাল ওয়ার্কার ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।

লন্ডন সিজনাল ওয়ার্কার ভিসা সুবিধা

লন্ডন সিজনাল ওয়ার্কার ভিসার অনেক সুবিধা রয়েছে। এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাবেন:

  • লন্ডনে কাজ করার সুযোগ: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা লন্ডনের কৃষি, পর্যটন, পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, নির্মাণ ইত্যাদি খাতে 6 মাস থেকে 12 মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
  • যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার অধিকার: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার অধিকার পাবেন।
  • যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও, এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাবেন:

  • যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
  • নতুন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা নতুন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
  • নতুন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা: এই ভিসার মাধ্যমে আবেদনকারীরা নতুন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

এই ভিসার মাধ্যমে লন্ডনে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ভিসার মাধ্যমে আসা শিক্ষার্থীরা লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে পড়াশোনা করতে পারবে। কর্মীরা লন্ডনের বিভিন্ন খাতে কাজের সুযোগ পাবে।

এই নতুন ভিসার মাধ্যমে লন্ডনের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

 

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা কি 

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা একটি দীর্ঘ-মেয়াদী ওয়ার্ক ভিসা যা লন্ডনে একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে কাজ করতে ইচ্ছুক বিদেশী নাগরিকদের জন্য। এই ভিসাটি 2019 সালে চালু করা হয়েছিল এবং এটি লন্ডনের উদ্ভাবনী শিল্পকে সমর্থন করার লক্ষ্যে।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • তারা অবশ্যই একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে কাজ করতে ইচ্ছুক হতে হবে যা লন্ডনে অবস্থিত।
  • তাদের অবশ্যই একটি বৈধ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
  • তাদের অবশ্যই একটি প্রমাণিত উদ্যোক্তা হওয়ার ইতিহাস থাকতে হবে।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা আবেদনকারীরা 2 বছরের জন্য লন্ডনে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি পাবেন। এই সময়ের মধ্যে, তারা তাদের স্টার্টআপ কোম্পানিকে সফল করতে কাজ করতে পারেন।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:

  • একটি আবেদনপত্র
  • একটি পাসপোর্ট
  • একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
  • একটি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ
  • ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ
  • একটি উদ্যোক্তা হওয়ার ইতিহাসের প্রমাণ

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার জন্য আবেদনগুলি সাধারণত 12 সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া করা হয়।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা একটি দুর্দান্ত সুযোগ লন্ডনে একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে কাজ করতে ইচ্ছুক বিদেশী নাগরিকদের জন্য। এই ভিসাটি লন্ডনের উদ্ভাবনী শিল্পকে সমর্থন করার এবং বিশ্বব্যাপী দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার সুবিধা  

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার অনেক সুবিধা রয়েছে। এই ভিসার মাধ্যমে, আবেদনকারীরা লন্ডনে 2 বছরের জন্য থাকার এবং কাজ করার অনুমতি পান। এই সময়ের মধ্যে, তারা তাদের স্টার্টআপ কোম্পানিকে সফল করতে কাজ করতে পারেন।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসার কিছু সুবিধা হল:

  • দীর্ঘ-মেয়াদী থাকার এবং কাজ করার অনুমতি: লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা আবেদনকারীরা 2 বছরের জন্য লন্ডনে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি পান। এই সময়ের মধ্যে, তারা তাদের স্টার্টআপ কোম্পানিকে সফল করতে কাজ করতে পারেন।
  • আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা: লন্ডন একটি বৈশ্বিক শহর এবং এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা আবেদনকারীরা লন্ডনের উদ্ভাবনী শিল্পে কাজ করার সুযোগ পাবেন, যা তাদের আন্তর্জাতিক দক্ষতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করবে।
  • ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা আবেদনকারীরা তাদের স্টার্টআপ কোম্পানিকে সফল করতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যদি তাদের কোম্পানি সফল হয়, তাহলে তারা লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।

লন্ডন স্টার্টআপ ভিসা একটি দুর্দান্ত সুযোগ লন্ডনে একটি স্টার্টআপ কোম্পানিতে কাজ করতে ইচ্ছুক বিদেশী নাগরিকদের জন্য। এই ভিসাটি লন্ডনের উদ্ভাবনী শিল্পকে সমর্থন করার এবং বিশ্বব্যাপী দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *