কানাডা এত ভিসা কেন দিচ্ছে বাংলাদেশিদের?

কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অভিবাসন গন্তব্য। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কানাডার নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বাসস্থান পাওয়ার জন্য আবেদন করে। বাংলাদেশিরা কানাডার অভিবাসীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। ২০২২ সালে, বাংলাদেশ থেকে কানাডার অভিবাসনের সংখ্যা ছিল ৩৫,০০০ এরও বেশি।

কানাডা কেন এত ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশিদের? এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও অর্থনীতি

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। ২০২২ সালে, এর জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটিরও বেশি। জনসংখ্যার এই ঘনত্ব কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সুযোগ সীমিত করে দেয়। অনেক বাংলাদেশি কানাডার মতো উচ্চ-আয়ের দেশগুলিতে অভিবাসন করার চেষ্টা করে, যেখানে তারা আরও ভালো জীবনযাপনের সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশিদের শিক্ষা ও দক্ষতা

বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৪.৭%। এটি বিশ্বের মধ্যে ৪৩তম। বাংলাদেশের অনেক মানুষ উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছে। এছাড়াও, অনেক বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী। কানাডার অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের চাহিদা রয়েছে।

কানাডার অভিবাসন নীতি

কানাডা একটি অভিবাসন-প্রধান দেশ। কানাডার সরকার অভিবাসনকে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার একটি উপায় হিসাবে দেখে। কানাডার অভিবাসন নীতিগুলি বিভিন্ন ধরনের অভিবাসীদের জন্য খোলা। এতে পেশাদার, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, এবং পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। কানাডা বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে।

বাংলাদেশিদের কানাডায় অভিবাসনের সুবিধা

কানাডায় অভিবাসনের অনেক সুবিধা রয়েছে। এতে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • উচ্চ-আয়ের দেশ: কানাডা একটি উচ্চ-আয়ের দেশ। কানাডায় বসবাসকারীরা বিশ্বের অন্যতম ভালো জীবনযাপনের মান উপভোগ করে।
  • নিরাপদ দেশ: কানাডা একটি নিরাপদ দেশ। কানাডার অপরাধের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।
  • শিক্ষার সুযোগ: কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা। কানাডায় বসবাসকারীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।
  • স্বাস্থ্যসেবা: কানাডার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা। কানাডায় বসবাসকারীরা কানাডার সরকারের অর্থায়নে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পায়।

কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম

কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম ও শর্তাবলী

কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত নিয়ম ও শর্তাবলী পূরণ করতে হবে:

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারীর বয়স 18 বছর বা তার বেশি হতে হবে।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট 6 মাস মেয়াদের হতে হবে এবং তাতে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই কানাডার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (IMM-5257) পূরণ করতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
    • পাসপোর্টের ফটোকপি (প্রথম দুটি পৃষ্ঠা)
    • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে)
    • ছবি (পাসপোর্ট সাইজের, সাদা বাকগ্রাউন্ড, ম্যাট পেপার ল্যাব প্রিন্ট)
    • আর্থিক সহায়তার প্রমাণ (গত চার মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, চাকরির চিঠি, ব্যবসার নিবন্ধন, ইত্যাদি)
    • ভ্রমণের ইতিহাসের প্রমাণ (পূর্ববর্তী ভ্রমণ ভিসার কপি, বিমানের টিকিট, হোটেল বুকিং, ইত্যাদি)
    • আমন্ত্রণ পত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)

কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে কানাডার ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ এবং নাগরিকত্ব (IRCC) ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর আপনাকে আবেদন ফি এবং বায়োমেট্রিক ফি প্রদান করতে হবে। আবেদন ফি একজন একক আবেদনকারীর জন্য CAD100 এবং বায়োমেট্রিক ফি CAD85।

আবেদন ফি ও বায়োমেট্রিক ফি প্রদান করার পর আপনাকে আপনার আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কানাডার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (VAC)-এ জমা দিতে হবে। VAC-এর ঠিকানা আপনি IRCC ওয়েবসাইটে খুঁজে পেতে পারেন।

VAC-এ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর আপনার আবেদন IRCC-এর দ্বারা পর্যালোচনা করা হবে। আবেদন পর্যালোচনায় যদি কোনও সমস্যা না থাকে তবে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে এবং আপনি কানাডা ভিজিট ভিসা পাবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে আপনার ভিসার মেয়াদ সাধারণত 6 মাস হবে।

কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার সময়কাল

কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার সময়কাল সাধারণত 3 থেকে 6 সপ্তাহ হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।

কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন সফল করার জন্য কিছু টিপস

  • আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে এবং সাবধানে পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দিন।
  • আপনার আবেদনপত্রের সাথে একটি ইতিবাচক ব্যক্তিগত চিঠি যুক্ত করুন।
  • আপনার আর্থিক অবস্থা প্রমাণ করুন যে আপনি কানাডা ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করতে পারবেন।
  • আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করুন।

কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় কত দিন থাকা যায়

কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়। তবে, ভিসা ইস্যু করার সময় কানাডার ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করবেন। সাধারণত, যদি আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান এবং সামাজিক বন্ধন থাকে, তাহলে আপনাকে ৯০ দিনের ভিসা দেওয়া হবে।

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসা দুই ধরনের:

  • ওয়ান-এন্ট্রি ভিসা: এই ভিসা দিয়ে আপনি কানাডায় একবার প্রবেশ করতে পারবেন এবং ৯০ দিনের মধ্যে দেশে থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
  • মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা: এই ভিসা দিয়ে আপনি কানাডায় একাধিকবার প্রবেশ করতে পারবেন এবং প্রতিবার ৯০ দিনের জন্য থাকতে পারবেন।

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে:

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, যা কানাডায় প্রবেশের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • আপনার একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা এবং একটি মোবাইল ফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • আপনার কানাডা ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান থাকতে হবে।
  • আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সামাজিক বন্ধন থাকতে হবে।

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে কানাডার ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র এবং নথিপত্রগুলি ইংরেজি বা ফরাসি ভাষায় জমা দিতে হবে।

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহ সময় নেয়। তবে, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি বা ভিসার প্রকার পরিবর্তন করতে চাইলে আপনার আবেদনের প্রক্রিয়া আরও বেশি সময় নিতে পারে।

কানাডা ভিজিট ভিসা পেতে কতদিন লাগে

সাধারণত, কানাডা ভিজিট ভিসা পেতে 15-20 কার্যদিবস সময় লাগে। তবে, আপনার আবেদনপত্রের উপর নির্ভর করে এই সময় আরও বেশি বা কম হতে পারে। আপনার আবেদনপত্র যত দ্রুত সম্পন্ন হবে, তত দ্রুত আপনি আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।

আপনার আবেদনপত্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু কারণ হল:

  • আপনার আবেদনপত্রের সম্পূর্ণতা এবং নির্ভুলতা।
  • আপনার আবেদনপত্রের সাথে জমা দেওয়া নথির গুণমান।
  • আপনার আবেদনপত্রের সমর্থনে আপনার প্রদান করা তথ্যের প্রাসঙ্গিকতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা।
  • আপনার আবেদনপত্রের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজনীয়তা।

আপনি যদি আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত দ্রুত পেতে চান, তাহলে আপনার আবেদনপত্র যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দেওয়া উচিত। আপনার আবেদনপত্র যত তাড়াতাড়ি জমা দেবেন, তত দ্রুত আপনার আবেদনপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আপনি যদি আপনার ভিসার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাহলে আপনি কানাডার ইমিগ্রেশন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব কাউন্সিলের (IRCC) ওয়েবসাইটে আপনার আবেদনের অবস্থান পরীক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তাহলে আপনার আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে:

  • একটি সম্পূর্ণ ভিজিটর ভিসা আবেদনপত্র (IMM 5257)।
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট।
  • স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাসপোর্ট আকারের ছবি।
  • কানাডায় আপনার থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের প্রমাণ।
  • আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রমাণ।
  • আপনার আবেদনপত্রের সমর্থনে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি।

আপনি যদি আপনার আবেদনপত্রের সাথে জমা দেওয়া নথির জন্য আরও তথ্য চান, তাহলে আপনি IRCC-এর ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।

কানাডায় ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যাবে কি

হ্যাঁ, কানাডায় ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া সম্ভব। তবে, এটি নির্ভর করে আপনার আবেদনপত্রের উপর। যদি আপনার আবেদনপত্রটি শক্তিশালী হয় এবং আপনি কানাডায় প্রবেশের জন্য যোগ্য হন, তাহলে আপনি ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন।

কানাডার টুরিস্ট ভিসার সাধারণ মেয়াদ হল ৬ মাস। তবে, যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন যে আপনি কানাডায় থাকার জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বন্ধন রয়েছে, তাহলে আপনি ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

১০ বছরের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি পূরণ করতে হবে:

  • আপনার পাসপোর্টটি কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য বৈধ হতে হবে।
  • আপনার আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
  • আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ দিতে হবে যে আপনি কানাডায় থাকার জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল।
  • আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বন্ধন প্রমাণ করতে হবে।

আপনি যদি ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে কানাডার ইমিগ্রেশন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব বিভাগের (IRCC) ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময়, আপনাকে নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলি জমা দিতে হবে:

  • আপনার পাসপোর্টের কপি
  • আপনার ভিসা আবেদনপত্র
  • আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ
  • আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বন্ধনের প্রমাণ

আপনার আবেদনপত্রটি IRCC দ্বারা পর্যালোচনা করা হবে এবং আপনার যোগ্যতা বিবেচনা করা হবে। যদি আপনার আবেদনপত্রটি অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি ১০ বছরের জন্য কানাডায় টুরিস্ট ভিসা পাবেন।

কানাডায় ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসা পেতে কিছু টিপস:

  • আপনার আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিন।
  • আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ হিসাবে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়কর রিটার্ন, এবং অন্যান্য আর্থিক নথিপত্র জমা দিন।
  • আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বন্ধনের প্রমাণ হিসাবে আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে আপনার সম্পর্ক প্রমাণ করুন।
  • আপনার আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার আগে, আপনার আবেদনপত্রটি প্রস্তুত করতে একজন অভিজ্ঞ অভিবাসন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করুন।

কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

কানাডায় যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সেগুলো হলো:

  • স্বাস্থ্যসেবা: নার্স, ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, থেরাপিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ইত্যাদি।
  • বাসস্থান: ইঞ্জিনিয়ার, নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, পেইন্টার, ইত্যাদি।
  • খাদ্য পরিষেবা: রাঁধুনী, বারটেন্ডার, ক্যাশিয়ার, পরিবেশক, ইত্যাদি।
  • নির্মাণ: ইঞ্জিনিয়ার, নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, পেইন্টার, ইত্যাদি।
  • খুচরা বাণিজ্য: বিক্রয়কর্মী, স্টোর ম্যানেজার, রিটেইল ম্যানেজার, ইত্যাদি।
  • পরিবহন: চালক, লজিস্টিকস বিশেষজ্ঞ, ইত্যাদি।
  • গুদামজাতকরণ: গুদাম কর্মী, লজিস্টিকস বিশেষজ্ঞ, ইত্যাদি।
  • শিক্ষা: শিক্ষক, শিক্ষক সহকারী, গবেষক, ইত্যাদি।

এই কাজগুলোর চাহিদা বেশি হওয়ার কারণ হলো:

  • কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বাসস্থান, ইত্যাদি খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে।
  • কানাডার অর্থনীতি শক্তিশালী এবং দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে নির্মাণ, খুচরা বাণিজ্য, পরিবহন, ইত্যাদি খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে।
  • কানাডায় অবসরপ্রাপ্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ইত্যাদি খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অভিবাসনকারীদের জন্য এই কাজগুলোর চাহিদা বেশি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই কাজগুলোতে অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকলে কানাডায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪

২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টাপ্রতি ১৪.৩৫ ডলার। এই বেতনটি কানাডার সমস্ত প্রদেশ এবং অঞ্চলে প্রযোজ্য। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, স্থানীয় আইনের কারণে এই বেতনটি আরও বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অন্টারিওতে, সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টাপ্রতি ১৫ ডলার।

কানাডার সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করে কানাডার ফেডারেল সরকার। এই বেতনটি প্রতি বছর পুনর্বিবেচনা করা হয়।

কানাডার সর্বনিম্ন বেতন কত তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়:

  • জীবনযাত্রার ব্যয়
  • কর্মসংস্থানের হার
  • অর্থনৈতিক অবস্থা

কানাডার সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি কর্মীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

কানাডা এবং আমেরিকা উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের মধ্যে ৮,৮৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য দুইটি প্রধান উপায় রয়েছে:

  • বিমানে
  • সড়কপথে

বিমানে

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হল বিমানে। কানাডার বেশিরভাগ শহর থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরের জন্য সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। বিমানে যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই আমেরিকার ভিসা থাকতে হবে।

সড়কপথে

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার আরেকটি উপায় হল সড়কপথে। কানাডার বেশিরভাগ শহর থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরের জন্য সরাসরি বাস এবং গাড়ি রয়েছে। সড়কপথে যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই আমেরিকার ভিসা থাকতে হবে।

বিস্তারিত

বিমানে

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য, আপনাকে প্রথমে কানাডার কোনো বিমানবন্দরে যেতে হবে। কানাডার বেশিরভাগ শহরেই বিমানবন্দর রয়েছে। আপনি আপনার বাড়ির কাছাকাছি কোনো বিমানবন্দরে যেতে পারেন।

বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর, আপনাকে আপনার ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন করতে হবে। চেক-ইন করার সময়, আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এবং আমেরিকার ভিসা দেখাতে হবে।

ফ্লাইটের সময়, আপনাকে আমেরিকান ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা দেখাতে হবে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন যে আপনি বৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করছেন।

ফ্লাইট থেকে নেমে, আপনাকে আমেরিকান কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা দেখাতে হবে। কাস্টমস কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন যে আপনি আমেরিকাতে কোন নিষিদ্ধ পণ্য বা দ্রব্য আমদানি করছেন না।

সড়কপথে

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য, আপনাকে প্রথমে কানাডার কোনো সীমান্তবর্তী শহরে যেতে হবে। কানাডার বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী শহরেই ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস চেকপোস্ট রয়েছে।

সীমান্তবর্তী শহরে পৌঁছানোর পর, আপনাকে আপনার গাড়ি বা বাসে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে আপনার পাসপোর্ট এবং আমেরিকার ভিসা দেখাতে হবে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন যে আপনি বৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করছেন।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের অনুমতি পাওয়ার পর, আপনাকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে আপনার গাড়ি বা ব্যাকপ্যাক পরীক্ষা করতে দিতে হবে। কাস্টমস কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে চাইবেন যে আপনি আমেরিকাতে কোন নিষিদ্ধ পণ্য বা দ্রব্য আমদানি করছেন না।

ভিসা

কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য, আপনার অবশ্যই আমেরিকার ভিসা থাকতে হবে। আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে, আপনাকে আমেরিকার দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময়, আপনাকে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা আবেদনপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ এবং অন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।

আমেরিকার ভিসা পেতে কত সময় লাগে তা নির্ভর করে আপনার ভিসার আবেদনের উপর। সাধারণত, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি ৪-৬ সপ্তাহ সময় লাগে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *