বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

নরওয়ে একটি উন্নত দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এখানে কাজের সুযোগ এবং জীবনমান ভালো। তাই অনেক বাংলাদেশি নরওয়েতে কাজের জন্য যেতে চান।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

  • বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকতে হবে।
  • বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • কমপক্ষে ৮ম শ্রেণী পাস হতে হবে।
  • ইংরেজি বা নরওয়েজিয়ান ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
  • নির্দিষ্ট একটি চাকরির অফার থাকতে হবে।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া

  • প্রথমে আপনাকে নরওয়েজিয়ান অ্যাম্বাসি বা কনস্যুলেট থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • আবেদনের জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
    • পাসপোর্ট
    • জন্ম নিবন্ধন
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
    • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
    • চাকরির অফার
    • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ
  • আবেদন ফি বাবদ আপনাকে নরওয়েজিয়ান ক্রোনের ৪০০০ দিতে হবে।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার সময়

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৩-৪ মাস সময় লাগে। তবে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার সময় ভিসার ধরন, আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরির অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসার ধরন

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসার দুটি ধরন রয়েছে:

  • নিয়মিত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (Regular Work Permit Visa): এই ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর। তবে চাকরির মেয়াদ শেষ হলে ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানো যেতে পারে।
  • অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (Temporary Work Permit Visa): এই ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস। তবে প্রয়োজনে ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার পর

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে নরওয়েতে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশের পর আপনাকে নরওয়েজিয়ান পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে হবে এবং ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনাকে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে।

নরওয়েতে কাজের সুযোগ

নরওয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন:

  • প্রকৌশলী
  • ডাক্তার
  • নার্স
  • প্রকল্প ব্যবস্থাপক
  • ব্যবসায়িক কর্মকর্তা
  • শিক্ষক
  • হোটেল ও রেস্তোরাঁর কর্মী
  • নির্মাণ শ্রমিক

নরওয়েতে কাজের জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরির অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য নরওয়েতে কাজের সুযোগ বেশি।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু টিপস

  • ভিসার আবেদন করার আগে আপনার যোগ্যতা এবং চাকরির সুযোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
  • ভিসার আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
  • ভিসার আবেদন করার সময় আপনার ইংরেজি বা নরওয়েজিয়ান ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন।

নরওয়েতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। তবে সঠিক প্রস্তুতি এবং প্রচেষ্টায় আপনি এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে পারবেন এবং নরওয়েতে আপনার স্বপ্নের চাকরি পেতে পারবেন।

নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে

নরওয়ে যেতে মোট খরচ নির্ভর করে আপনার ভ্রমণের সময়কাল, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, এবং ভ্রমণের ধরন ইত্যাদির উপর। তবে, সাধারণভাবে, নরওয়ে যেতে প্রায় ৫-১০ লাখ টাকা খরচ হয়।

ভ্রমণের সময়কাল

নরওয়ে একটি বিশাল দেশ, এবং প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে। তাই, আপনি যদি নরওয়েতে বেশ কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে দেখতে চান, তাহলে আপনার ভ্রমণের সময়কাল বাড়াতে হবে। এতে আপনার খরচও বাড়বে।

ভ্রমণের উদ্দেশ্য

আপনি যদি নরওয়েতে শুধুমাত্র পর্যটন করতে চান, তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম হবে। তবে, আপনি যদি নরওয়েতে পড়াশোনা করতে বা কাজ করতে চান, তাহলে আপনার খরচ অনেক বেশি হবে।

ভ্রমণের ধরন

আপনি যদি নরওয়েতে নিজের ব্যবস্থায় ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনার খরচ কম হবে। তবে, আপনি যদি ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে।

নরওয়েতে ভ্রমণের খরচের বিভিন্ন উপাদান

  • বিমান ভাড়া: ঢাকা থেকে নরওয়েতে সরাসরি ফ্লাইট নেই। তাই, আপনাকে অন্য কোন দেশে ট্রানজিট করতে হবে। ট্রানজিট ফ্লাইটের ভাড়া প্রায় ৫০-১০০ হাজার টাকা।
  • ভিসা ফি: নরওয়েতে ভিসা ফি প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
  • হোটেল ভাড়া: নরওয়েতে হোটেল ভাড়া তুলনামূলকভাবে বেশি। একটি রাতের জন্য হোটেল ভাড়া প্রায় ১০-২০ হাজার টাকা।
  • খাবারের খরচ: নরওয়েতে খাবারের খরচও বেশি। প্রতিদিনের খাবারের জন্য আপনাকে প্রায় ১০-২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
  • পরিবহন খরচ: নরওয়েতে পরিবহন খরচও বেশি। একটি ট্রেনের টিকিট প্রায় ১০-২০ হাজার টাকা।
  • অন্যান্য খরচ: অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে টুরিস্ট ভিসা, ইন্স্যুরেন্স, ট্রাভেল এজেন্সির ফি ইত্যাদি।

নরওয়েতে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস

  • নরওয়ে একটি ব্যয়বহুল দেশ। তাই, ভ্রমণের আগে আপনার বাজেট ঠিক করে নিন।
  • নরওয়েতে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। তাই, নিজের ব্যবস্থায় ভ্রমণ করলে আপনি অনেক খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন।
  • নরওয়েতে অনেক জাদুঘর এবং সংগ্রহশালা রয়েছে। তাই, আপনার ভ্রমণের সময়সূচীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • নরওয়েতে অনেক সুন্দর রেস্তোরাঁ রয়েছে। তবে, খাবারের দাম বেশি। তাই, স্থানীয় খাবার খেলে আপনি অনেক খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।

নরওয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত

নরওয়েতে সরকারিভাবে কোনও সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো না থাকলেও, দেশটিতে কাজ করা সকল দক্ষ শ্রমিকের মজুরি ঘণ্টায় ন্যূনতম ২১০ নরওয়েজিয়ান ক্রোনা। অদক্ষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ঘণ্টা হিসেবে দেশটিতে সর্বনিম্ন মজুরি ১৮৮.৪ নরওয়েজিয়ান ক্রোনা।

১ নরওয়েজিয়ান ক্রোনার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ টাকা। সুতরাং, নরওয়েতে দক্ষ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ঘণ্টাওয়ারি বেতন প্রায় ২১০০ টাকা এবং অদক্ষ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ঘণ্টাওয়ারি বেতন প্রায় ১৮৮৪ টাকা।

নরওয়েতে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে শ্রমিকের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কাজের ধরন, কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়।

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ডকুমেন্টস কি কি লাগে

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস লাগে:

  • পাসপোর্ট
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ
  • দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • কর্মসংস্থানের চুক্তিপত্র
  • নরওয়েজীয় ভাষার দক্ষতার সনদপত্র (ঐচ্ছিক)

পাসপোর্ট

আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে এবং নরওয়ে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে 6 মাস থাকতে হবে।

ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ

আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ আপনার পরিচয় প্রমাণ করবে।

দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

আপনার দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, যাতে আপনার মুখ সম্পূর্ণ দেখা যাচ্ছে। ছবিগুলি অবশ্যই নতুন হতে হবে এবং ছবি তোলার তারিখ থেকে ছয় মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

আপনার একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে, যাতে আপনার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ নেই তা প্রমাণ হয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র লাগবে, যাতে দেখা যায় যে আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন তার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

কর্মসংস্থানের চুক্তিপত্র

আপনার একটি কর্মসংস্থানের চুক্তিপত্র লাগবে, যাতে দেখা যায় যে আপনাকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছে।

নরওয়েজীয় ভাষার দক্ষতার সনদপত্র

আপনার নরওয়েজীয় ভাষার দক্ষতার সনদপত্র লাগতে পারে, যদি আপনার চাকরির জন্য নরওয়েজীয় ভাষার প্রয়োজন হয়।

এই ডকুমেন্টগুলির পাশাপাশি, আপনাকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং ভিসা ফি দিতে হবে।

আবেদনপত্র

আপনার আবেদনপত্রে আপনার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, এবং আপনার চাকরির প্রস্তাব সম্পর্কে তথ্য থাকতে হবে।

ভিসা ফি

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ভিসা ফি প্রদান করতে হয়। ফির পরিমাণ ভিসা আবেদনের ধরন এবং আবেদনকারীর বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয়।

আবেদন প্রক্রিয়া

আপনি আপনার আবেদনপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নরওয়েজিয়ান ইমিগ্রেশন অথরিটির (UDI) কাছে জমা দিতে পারেন। UDI আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে যে আপনি কি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য।

ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়া প্রায় 4-8 সপ্তাহ সময় নেয়।

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে এপলাই করবো 

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. যোগ্যতা যাচাই করুন। নরওয়েতে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ কর্মী হতে হবে। দক্ষ কর্মী বলতে এমন কর্মীকে বোঝায় যিনি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পেশাদারি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। নরওয়ে সরকারের ওয়েবসাইটে দক্ষ কর্মীর সংজ্ঞা এবং যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
  2. চাকরির অফার নিশ্চিত করুন। আপনাকে অবশ্যই একটি নরওয়েজিয়ান কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পেতে হবে। চাকরির অফারটি অবশ্যই নরওয়েজিয়ান সরকারের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
  3. আবেদনপত্র পূরণ করুন। নরওয়েজিয়ান সরকারের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করুন এবং পূরণ করুন। আবেদনপত্রটি অবশ্যই সাবধানে পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
  4. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিন। আবেদনপত্রের সাথে আপনার নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি জমা দিতে হবে:
    • পাসপোর্ট এবং ভিসা আবেদন ফর্ম
    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
    • কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র
    • চাকরির অফার
    • আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ
    • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্র
  5. আবেদন ফি প্রদান করুন। নরওয়েজিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে আবেদন ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

আপনি নরওয়েজিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। আপনি অনলাইনেও আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনাকে নরওয়েজিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আপনার আবেদনপত্রটি প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রায় 15 দিন সময় লাগতে পারে। আবেদনপত্রটি অনুমোদিত হলে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ সাধারণত 1 বছর।

নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:

  • আবেদনপত্রটি অবশ্যই সাবধানে পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনপত্রের সাথে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
  • আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
  • আপনার আবেদনপত্রটি প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রায় 15 দিন সময় লাগতে পারে।

আপনি যদি নরওয়েতে কাজ করতে আগ্রহী হন তবে উপরে বর্ণিত ধাপগুলি অনুসরণ করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *