আমেরিকা ভিজিট ভিসা আপডেট ২০২৪

প্রবেশের যোগ্যতা

বাংলাদেশি নাগরিকরা আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে, আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হবে:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসার জন্য আবেদন ফি
  • ভিসা আবেদন ফর্ম
  • পাসপোর্ট-আকারের ছবি
  • ব্যক্তিগত বিবৃতি
  • আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ
  • আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)

আবেদন প্রক্রিয়া

আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্মটি অনলাইনে বা ডাউনলোড করে পূরণ করা যেতে পারে। ফর্ম পূরণের পর, আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। আবেদন ফি পরিশোধের পর, আবেদনকারীকে একটি পাসপোর্ট-আকারের ছবি এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি জমা দিতে হবে। আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ এবং আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)ও জমা দিতে হতে পারে।

ইন্টারভিউ

আবেদনকারীকে অবশ্যই ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য উপস্থিত হতে হবে। ইন্টারভিউয়ে, আবেদনকারীকে তার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, আমেরিকায় থাকার পরিকল্পনা, এবং আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে।

ভিসা প্রসেসিং সময়

আমেরিকা ভিজিট ভিসার প্রসেসিং সময় সাধারণত ১ থেকে ৬ মাস হয়। তবে, ভিসার আবেদনের পরিমাণ এবং ভিসা অফিসের চাপের উপর নির্ভর করে এই সময়টি আরও বেশি হতে পারে।

২০২৪ সালের আপডেট

২০২৪ সালের শুরুতে, আমেরিকা সরকার আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার অধীনে, আবেদনকারীদের জন্য নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করা হয়েছে:

  • ভিসা আবেদন ফর্মটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
  • আবেদন ফি কমানো হয়েছে।
  • ইন্টারভিউয়ের সময় কমানো হয়েছে।

এই সুবিধাগুলোর ফলে আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত হয়েছে।

সিলেট থেকে আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা

সিলেট থেকে আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। সিলেটের অনেক মানুষ আমেরিকা ভিজিট ভিসা পেয়ে থাকেন। তবে, ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা আবেদনের প্রস্তুতি

আমেরিকা ভিজিট ভিসা আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে:

  • ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আমেরিকা ভিজিট ভিসার যোগ্যতা এবং প্রসেসিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত।
  • ভিসা আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করা উচিত।
  • পাসপোর্ট-আকারের ছবি এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি ভালোভাবে তৈরি করা উচিত।
  • আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ এবং আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়) যথাযথভাবে সংগ্রহ করা উচিত।
  • ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য একজন অভিজ্ঞ ভিসা পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

আমেরিকা ভিজিট  ভিসা খরচ

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভিজিট ভিসার মূল খরচ হলো ১৬০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ১৭,২৮০ টাকা। এই ফিটি অবশ্যই আবেদনকারীকে ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

ভিসার অন্যান্য খরচ

ভিসার মূল খরচ ছাড়াও আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত খরচ বহন করতে হবে:

  • ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণের ফি: ১১ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ১,২২৪ টাকা)
  • ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ফি: ১১ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ১,২২৪ টাকা)
  • ভিসার প্রসেসিং ফি (ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে): ১০০০-১৫০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ১,২২,৪০০-১,৮৩,৬০০ টাকা)

ভিসা ফি পরিশোধের পদ্ধতি

ভিসা ফি পরিশোধ করতে হলে আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. ইস্টার্ন ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন।
  2. “বিদেশী ভিসা ফি পরিশোধ” অপশনটি নির্বাচন করুন।
  3. আবেদনকারীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভিসা আবেদনের তারিখ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
  4. ফি পরিশোধ করুন।

ভিসা আবেদন কেন্দ্র

বাংলাদেশে আমেরিকা ভিসা আবেদনের জন্য তিনটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VAC) রয়েছে:

  • ঢাকা: ঢাকা ভিসা আবেদন কেন্দ্র (DVAC)
  • চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ভিসা আবেদন কেন্দ্র (CVAC)
  • সিলেট: সিলেট ভিসা আবেদন কেন্দ্র (SVAC)

আবেদনকারীকে তার নিকটবর্তী VAC-এ ভিসা আবেদন করতে হবে।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং

আমেরিকা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং হল একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। আবেদনকারীদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং একটি সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত হতে হবে।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • একটি সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে পূরণ করা DS-160 অনলাইন আবেদন ফর্ম।
  • একটি পাসপোর্ট যা আবেদন করার তারিখ থেকে কমপক্ষে ছয় মাস বৈধ।
  • একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি।
  • একটি ভিসা ফি।
  • আর্থিক সমর্থনের প্রমাণ।
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনার প্রমাণ।

সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার হল ভিসা প্রসেসিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কনস্যুলার অফিসার আবেদনকারীর পরিচয়, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় তাদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুত থাকতে হবে।

ভিসার মেয়াদ

সাধারণত, আমেরিকা ভিজিট ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে, কনস্যুলার অফিসার ভিসার মেয়াদ কম বা বেশি করতে পারেন।

আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করার ধাপসমূহ

১. DS-160 অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ফর্মটি পূরণ করতে পারেন। ২. আপনার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। ৩. আপনার সাক্ষাৎকারের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করুন। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে গিয়ে এই তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন। ৪. আপনার সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত হন। আবেদনকারীদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুত থাকতে হবে।

আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় সাধারণ ভুল

  • আবেদন ফর্মে ভুল তথ্য দেওয়া।
  • প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা না দেওয়া।
  • সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত না হওয়া।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা পেতে কত সময় লাগে?

সাধারণত, আমেরিকা ভিজিট ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়াটি দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় নেয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা পেতে কত খরচ হয়?

ভিসা ফি হল ১৬০ মার্কিন ডলার। এছাড়াও, আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি ভিসা প্রসেসিং ফি দিতে হবে, যা ৮০ মার্কিন ডলার থেকে ১৩০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?

আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং কনস্যুলার অফিসারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণভাবে, আবেদনকারীদের যদি নিম্নলিখিতগুলি থাকে তবে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে:

  • শক্তিশালী পারিবারিক বা সামাজিক বন্ধন তাদের নিজ দেশে।
  • একটি ভালো চাকরি বা ব্যবসা।
  • আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
  • যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় তাদের আর্থিক খরচ বহন করার সামর্থ্য।

আমেরিকা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং একটি জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে। তবে, প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকার মাধ্যমে আবেদনকারীরা তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারেন।

আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ নিতে কতদিন লাগে?

আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ নিতে কতদিন লাগে তা ভিসার ধরন, আবেদনকারীর দেশের অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভিজিট ভিসার জন্য ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার জন্য ১-২ মাস সময় লাগে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার জন্য ৩-৪ মাস সময় লাগে। ইমিগ্রেশন ভিসার জন্য ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার জন্য ৬-১২ মাস সময় লাগে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার জন্য বর্তমানে ৪-৬ মাস সময় লাগছে। এটি স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এছাড়াও, আবেদনকারীর আবেদনপত্রের পূর্ণতা, আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ভ্রমণ ইতিহাস, আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ও ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার সময়কে প্রভাবিত করতে পারে।

আপনি যদি আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ ডেট পেতে চান, তাহলে আপনার আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করা এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, আপনি যদি আমেরিকা ভ্রমণের জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল হন এবং আপনার পূর্ববর্তী ভ্রমণ ইতিহাস ভালো হয়, তাহলে ইন্টারভিউ ডেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আমেরিকা ভিজিট  ভিসা কতদিন থাকা যায়

আমেরিকা ভিজিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস। অর্থাৎ, আপনি একবারে ৬ মাস পর্যন্ত আমেরিকায় থাকতে পারবেন। তবে, আপনি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে।

আপনি যদি একাধিকবার আমেরিকা যেতে চান, তাহলে আপনি ৫ বছরের ভিজিট ভিসা পেতে পারেন। এই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনি যতবার ইচ্ছা আমেরিকা যেতে পারবেন। তবে, প্রত্যেকবারই আপনাকে ৬ মাস পর্যন্ত আমেরিকায় থাকতে হবে।

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকা ত্যাগ না করলে, আপনাকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে, আপনাকে আমেরিকা থেকে নির্বাসিত করা হতে পারে।

আমেরিকা ভিজিট ভিসার মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়:

  • আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ
  • আপনার আর্থিক অবস্থা
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • আপনার পরিবারের অবস্থা
  • আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য

আপনি যদি আমেরিকা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে।

ভিজিটর ভিসায় বাবা মা কতদিন থাকতে পারবে?

বাংলাদেশি নাগরিকদের বাবা-মা ভিজিটর ভিসায় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। তবে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হবে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশ ত্যাগ না করলে, অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভিজিটর ভিসায় বাবা-মা বাংলাদেশে আসার জন্য, বাংলাদেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:

  • আবেদনপত্র
  • পাসপোর্টের মূল কপি এবং ফটোকপি
  • ভিসা ফি
  • বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের মূল কপি এবং ফটোকপি
  • বাংলাদেশি নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • স্পন্সরের আয়ের প্রমাণপত্র
  • স্পন্সরের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, বাংলাদেশি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের কর্তৃপক্ষ ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করবেন।

আমেরিকা ভিজিট  ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর উপায়?

আমেরিকা ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৩০ দিন আগে আবেদন করুন।
  2. আপনার নিকটস্থ মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।
  3. আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথিপত্র পূরণ করুন।
  4. আপনার ভিসা ফি প্রদান করুন।
  5. আপনার আঙুলের ছাপ এবং একটি সাক্ষাৎকার দিন।

আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:

  • একটি সম্পূর্ণ পূরণ করা আবেদনপত্র
  • আপনার বর্তমান পাসপোর্টের একটি অনুলিপি
  • আপনার ভিসার একটি অনুলিপি
  • একটি ছবি
  • একটি আয়ের প্রমাণ
  • একটি চিকিৎসা বীমা নীতি
  • একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা

আপনার সাক্ষাৎকারে, আপনিকে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে আপনার সময়কাল সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে। আপনাকে আপনার আয়ের প্রমাণ এবং চিকিৎসা বীমা নীতির মূল কপিও দেখাতে হতে পারে।

আপনার আবেদন যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনাকে একটি নতুন ভিসা দেওয়া হবে যাতে আপনার মূল ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে।

বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে, মার্কিন সরকার ভিসা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনকারীদের জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা আরোপ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি বিবাহ বা অন্যান্য বড় ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে সেই ইভেন্টের আমন্ত্রণপত্র বা অন্যান্য প্রমাণ প্রদান করতে হতে পারে।

আপনি যদি আমেরিকা ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনার আবেদনটি বিবেচনা করার সময় মার্কিন সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবে:

  • আপনার ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনার যোগ্যতা
  • আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য
  • আপনার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময়কাল
  • আপনার আয়ের প্রমাণ
  • আপনার চিকিৎসা বীমা নীতি
  • আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা

আপনার আবেদনটি বিবেচনা করার সময়, মার্কিন সরকার আপনার আবেদনপত্রের তথ্য এবং নথিপত্রের উপর নির্ভর করবে। তাই, আপনার আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করা এবং আপনার নথিপত্রগুলি সম্পূর্ণ এবং সঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকার ভিসা ইন্টারভিউতে কি কি প্রশ্ন করা হয়?

আমেরিকার ভিসা ইন্টারভিউতে ভিসা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত, আর্থিক এবং পেশাগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হতে পারে। সাধারণত জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • আপনার নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং বর্তমান পেশা।
  • আপনার পরিবারের সদস্যদের নাম, ঠিকানা, এবং যোগাযোগের তথ্য।
  • আপনার আমেরিকার ভ্রমণের উদ্দেশ্য।
  • আপনি আমেরিকায় কতদিন থাকতে চান।
  • আপনার আমেরিকায় থাকার জন্য অর্থের উৎস।
  • আপনার আমেরিকায় প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা।

এছাড়াও, ভিসা অফিসার আপনার ভিসা আবেদনপত্র, পাসপোর্ট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যেমন:

  • আপনার ভিসা আবেদনপত্রে উল্লেখিত তথ্যের সাথে আপনার বাস্তব জীবনের তথ্যের মিল আছে কিনা।
  • আপনি আমেরিকায় যাওয়ার পর কোন কাজ করতে চান।
  • আপনি আমেরিকায় কোন আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চান।

ভিসা ইন্টারভিউতে ভালোভাবে সাফল্য লাভের জন্য, ভিসা আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ইন্টারভিউর আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া এবং ভিসা অফিসারের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হওয়ার জন্য অনুশীলন করা উচিত।

আমেরিকার ভিসা ইন্টারভিউতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে ভিসা অফিসারের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই, ভিসা ইন্টারভিউতে যানোর আগে ভিসা অফিসারের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা না করে ইন্টারভিউ সম্পর্কে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *