আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন?

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

১. যোগ্যতা নিশ্চিত করুন:

  • আপনার যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক ভ্রমণের উদ্দেশ্য হতে হবে (পর্যটন, বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে দেখা করা, চিকিৎসা, ইত্যাদি)।
  • আপনার যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সম্ভাব্য খরচ বহন করার সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হবে।
  • আপনার যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও নাগরিকত্ব আছে এবং অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন যেটি নিশ্চিত করে যে আপনি আপনার যাত্রা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রস্থান করবেন।

২. আবেদনপত্র পূরণ করুন:

  • অনলাইনে https://ceac.state.gov/genniv/ ফর্মটি পূরণ করুন।
  • ফর্মটি পূরণ করার সময় আপনার পাসপোর্ট, ভিসার ছবি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রস্তুত রাখুন।

৩. অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করুন:

  • https://bd.usembassy.gov/ ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করুন।
  • অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় আপনাকে আপনার পাসপোর্ট, ভিসার ফি রসিদ, DS-160 কনফার্মেশন পেজ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে।

৪. ভিসা ইন্টারভিউ:

  • নির্ধারিত সময়ে U.S. Embassy Dhaka তে ভিসার জন্য ইন্টারভিউ দিন।
  • ইন্টারভিউয়ের সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, সম্ভাব্য খরচ বহন করার সামর্থ্য, এবং আপনার যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রস্থান করার ইচ্ছা সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে।

৫. ভিসা প্রদান:

  • আপনার ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনার পাসপোর্ট ভিসা স্ট্যাম্প সহ ডাকযোগে আপনার কাছে ফেরত পাঠানো হবে।

আরও তথ্যের জন্য:

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • ভিসার আবেদনপত্র পূরণ করার সময় সঠিক তথ্য দিন।
  • ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
  • সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্টে যান।

ভিসার খরচ:

বর্তমানে, B-1/B-2 ভিসার জন্য আবেদন ফি $160 USD।

প্রক্রিয়াকরণের সময়:

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ভিসা গ্যারান্টী নেই:

আপনার ভিসার আবেদন অনুমোদিত হবে এমন কোন গ্যারান্টী নেই।

এজেন্টের সাহায্য:

আপনি চাইলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় একজন এজেন্টের সাহায্য নিতে পারেন।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা ভিসা প্রসেসিং

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সময় নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যেমন:

  • আপনার আবেদনের ধরন: B1/B2 ভিসা (পর্যটন/ব্যবসা) প্রসেসিং সময় অন্যান্য ধরণের ভিসা (যেমন, F1/J1 শিক্ষার্থী ভিসা) থেকে আলাদা।
  • আপনার আবেদন করার সময়: ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদনের উচ্চ মৌসুমে (যেমন, গ্রীষ্মের ছুটি) প্রসেসিং সময় বেশি লাগতে পারে।
  • আপনার আবেদনের স্পষ্টতা এবং সম্পূর্ণতা: আপনার আবেদনপত্রে যদি সকল তথ্য সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ থাকে, তাহলে প্রসেসিং সময় কম লাগবে।
  • আপনার ইন্টারভিউয়ের সময়: আপনার ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করার সময় প্রসেসিং সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
  • আপনার আবেদন করা দূতাবাস/কনস্যুলেটের কার্যকারিতা: বিভিন্ন দূতাবাস/কনস্যুলেটের ভিসা প্রসেসিং সময় ভিন্ন হতে পারে।

বর্তমানে (২০২4 সালের 3 মার্চ):

  • B1/B2 ভিসার জন্য: গড় প্রসেসিং সময় প্রায় 7 সপ্তাহ।
  • অন্যান্য ভিসার জন্য: প্রসেসিং সময় ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে।

আপনার আবেদনের প্রসেসিং সময় সম্পর্কে ধারণা পেতে:

  • US Travel Docs: URL US Travel Docs ওয়েবসাইট: আপনার আবেদনের অবস্থা ট্র্যাক করতে এবং আপনার ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করার সময় সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
  • US Visa wait times: URL US Visa wait times ওয়েবসাইট: বিভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য প্রসেসিং সময় সম্পর্কে ধারণা পেতে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।

মনে রাখবেন:

  • প্রসেসিং সময় পরিবর্তন হতে পারে।
  • আপনার আবেদন দ্রুত প্রসেসিং করার জন্য, সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদন করুন।

অন্যান্য তথ্য:

  • আপনি যদি জরুরি ভিত্তিতে ভিসার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি “অর্জেন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট” এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • আপনার আবেদন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে, আপনি US Travel Docs: URL US Travel Docs ওয়েবসাইটে FAQ বিভাগ দেখতে পারেন অথবা US Travel Docs কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি লাগে ?

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর। তবে, কিছু সাধারণ যোগ্যতা রয়েছে যা সকল ধরণের ভিসার আবেদনকারীদের পূরণ করতে হবে।

সাধারণ যোগ্যতা:

  • বৈধ পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট ভ্রমণের শেষ তারিখের পরেও কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য বৈধ হতে হবে।
  • ভিসার জন্য আবেদনপত্র: আপনাকে DS-160 নামক একটি অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
  • ভিসার ফি: আপনাকে ভিসার আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রমাণ: আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে কেন যেতে চান এবং আপনার ভ্রমণ সাময়িক।
  • আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণ: আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনার যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ের জন্য আপনার যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে।
  • বাংলাদেশে স্থায়ী বন্ধন প্রমাণ: আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
  • চিকিৎসা পরীক্ষা: কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে একটি চিকিৎসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • সাক্ষাৎকার: আপনাকে অবশ্যই মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে একটি সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হবে।

কিছু নির্দিষ্ট ভিসার জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা:

  • কর্ম ভিসা: আপনার অবশ্যই একটি মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে একটি বৈধ চাকরির অফার থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থী ভিসা: আপনার অবশ্যই একটি মার্কিন বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
  • পরিবার ভিসা: আপনার অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন নিকটাত্মীয় থাকতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • ভিসার জন্য আবেদন করার আগে আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
  • ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হতে পারে, তাই আগে থেকেই আবেদন করা উ ।
  • ভিসার আবেদনের সময় সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করুন।
  • ভিসার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

আমেরিকার ভিসা পেতে কত টাকা লাগে?

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা খরচ নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর।

সাধারণভাবে, মার্কিন ভিসার জন্য দুটি ধরণের ফি প্রদান করতে হবে:

১) মেশিন রিডেবল ভিসা (MRV) ফি:

  • ব্যবসা বা পর্যটন ভ্রমণ ভিসা (B1/B2): $160 (প্রায় 17,287 টাকা)
  • শিক্ষার্থী ভিসা (F, M, J): $160 (প্রায় 17,287 টাকা)
  • চাকরির ভিসা (H, L, O, P, Q, R): $190 (প্রায় 20,516 টাকা)
  • অন্যান্য ভিসা: ফি বিভিন্ন ভিসার জন্য ভিন্ন

২) পারস্পরিকতা ফি:

  • কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য: $100-$300 (প্রায় 10,797-32,392 টাকা)

মনে রাখবেন:

  • ভিসার ফি ফেরতযোগ্য নয়।
  • আপনি ভিসার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই ফি প্রদান করতে হবে।
  • আপনি অনলাইনে বা ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (EBL) এর যেকোনো শাখায় ফি প্রদান করতে পারেন।

বাংলাদেশে আমেরিকার ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়?

বাংলাদেশে আমেরিকার ভিসা ফি দুটি উপায়ে প্রদান করা যায়:

১) নগদ অর্থে:

  • ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এর যেকোনো শাখায় আপনি নগদ অর্থে ভিসা ফি প্রদান করতে পারবেন।
  • ফি প্রদানের সময়, আপনাকে অবশ্যই আপনার DS-160 কনফার্মেশন পৃষ্ঠা এবং আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
  • ব্যাংক আপনাকে একটি রসিদ দেবে যা আপনার ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

২) ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে:

  • ইবিএল স্কাইব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি ইএফটি-এর মাধ্যমে ভিসা ফি প্রদান করতে পারবেন।
  • ফি প্রদানের সময়, আপনাকে অবশ্যই আপনার DS-160 কনফার্মেশন নম্বর এবং আপনার পাসপোর্ট নম্বর ইনপুট করতে হবে।
  • সফলভাবে ফি প্রদানের পর, আপনাকে একটি ই-রসিদ পাঠানো হবে যা আপনার ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

মনে রাখবেন:

  • ভিসা ফি ফেরতযোগ্য নয়।
  • আপনার ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
  • আপনার ভিসা অনুমোদন করা হোক বা না হোক, আপনাকে ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *