অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম-২০২৩

নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০৭ইং তারিখে আগে হতে হবে। তবে কেউই ২য় বার ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন না। অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে এন আই ডি এর অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করে আবেদন ফরমে আপনার সঠিক নাম, জন্ম তারিখ, ক্যাপচা এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে সাবমিট করুন।

অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন ফরম সম্পন্ন হলে আবেদন কপি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করুন। এখন প্রিন্টকৃত নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন ফরমটি যথাস্থানে ইউপি সদস্য/কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা প্রদান করুন।

আপনার নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্কিন বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করার জন্য মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে ডাকা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্ক্যানের দুই সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র টি অনুমোদন হলে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

চলুন সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়াটি সরাসরি ধাপে ধাপে দেখি। ভালো করে আবেদন প্রক্রিয়া না জেনে আবেদন করলে জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূল তথ্য আসতে পারে। তাই মনোযোগ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ুন এবং তারপর ধীরে স্থিরে নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন করুন।

নতুন ভোটার হওয়ার শর্ত

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু আবশ্যকীয় শর্ত রয়েছে। নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে হলে ভোটার আবেদনের যোগ্য হতে হবে।

  • বয়স ১৬ বছর বা তার বেশি হতে হবে
  • অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • কখনো NID নিবন্ধন করেনি

অর্থাৎ নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে তার সাথে সাথে বয়স সর্বনিম্ন ১৬ বছর হতে হবে এবং আগ থেকে কোন জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা যাবেনা।

নতুন আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন আইডি কার্ড আবেদন করতে যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ সহ পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি। নতুন আইডি কার্ড করতে কিছু কাগজ পত্র প্রয়োজন। নতুন ভোটার হতে যে সব ডকুমেন্টস লাগে তার তালিকা নিচে দেয়া হলো-

  • শিক্ষাগত যোগ্যতার ফটোকপি (পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি)
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি
  • পিতা, মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (প্রযোজ্য হলে)
  • পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ইউটিলিটি বিলের কপি
  • আগে ভোটার হন নি মর্মে অঙ্গিকার নামা
  • নাগরিকত্ব সনদ (চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট)

বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট কিংবা পাসপোর্ট এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স এগুলোর কোনোটি না থাকলে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার নিয়ম

বাংলাদেশী নাগরিক ২টি উপায় নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন করতে পারে। তা হলো

  • অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন আবেদন
  • সরাসরি নির্বাচন অফিসে গিয়ে

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য কয়েক বছর আগেও উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে হতো। আবার ৫ বছর অন্তর অন্তর সরকারি উদ্যোগে এলাকা ভিত্তিক নতুন ভোটার নিবন্ধন ক্যাম্পেইন চলে। বর্তমানে প্রতি বছর ভোটার হালনাগাদ করা হলেও কোন কারণে কেউ ভোটার নিবন্ধন না করলে বা ভূল এড়াতে নিজের আবেদন নিজে করে নিলে অনেক ভালো হয়।

আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি সম্পকে জনা। যাতে করে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া ঘরে বসে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন এর আবেদন

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার আবেদন করতে এনআইডি আবেদনের সাইটে আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

ধাপ ১. অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন

অনলাইনে ভোটার আবেদনের প্রধম ধাপে services.nidw.gov.bd সাইটে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। “নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন”  এর নিচে “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

আবেদন ফরমে আপনার সঠিক ইংরেজী নাম, জন্মতারিখ ও ক্যাপচা পূরণ করে “বহাল” বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে তা ওটিপি দিয়ে তা ভেরিফাই করতে হবে। পরবর্তী সময়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন আপডেট এই মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।

এখন মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন ধাপে আপনাকে একটি বাংলাদেশ মোবাইল নাম্বার ইনপুট করতে হবে। নাম্বারটি টাইপ করে বার্তা পাঠান বাটন চাপলে কাঙ্খিত মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার ওটিপি চলে যাবে।

প্রথমবারে আপনার ফোনে ওটিপি না গেলে ২ মিনিট অপেক্ষা করে পুনরায় পাঠান বাটনে চেপে আরেকটি কোডের জন্য রিকোয়েস্ট করতে পারেন। নেটওয়ার্ক সমস্যা কিংবা সার্ভারের ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যে মেসেজ আসতে দেরি হতে পারে।

ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড চলে আসলে তা ওটিপি ঘরে বসিয়ে বাটনে ক্লিক করুন। সঠিক ওটিপি দিয়ে সাবমিট করার পর আপনাকে নতুন একটি পেজে নিয়ে যাবে।

ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড বাছাই করুন

পরবর্তী সময়ে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করার জন্য একটি ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ইউজারনেম টি যেন ইউনিক হয়। ভবিষ্যতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করে আইডি কার্ড প্রিন্ট বা সংশোধন করতে এই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

ইউজারনেম কমপক্ষে ৮ ডিজিটের হতে হবে। আপনার ইউজারনেম টি ইউনিক করার জন্য ইংরেজি অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা ব্যবহার করতে পারেন। যদি Username Already Exists দেখায় তা হলে আপনার ইউজারনেম টি পরিবর্তন করে ইউনিক করার চেষ্টা করুন।

ধাপ ২. ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পন্ন করুন

ননতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অ্যাকাউন্ট রেজিষ্টার হয়ে গেলে লগ ইন বাটনে ক্লিক করে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। লগ ইন করার পর উপরের “প্রোফাইল” বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যক্তিগত তথ্য

এন আই ডি সার্ভারে এ আপনার ব্যক্তিগত সাবমিট করতে প্রথমে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ফিল্ড গুলোতে লিখার অপশন থাকবে না। যখন এডিটে ক্লিক করবেন তখন সব কটি ফিল্ড ইনপুট নেয়ার জন্য প্রস্তুত হবে।

এখানে *(লাল স্টার) চিহ্নিত সকল ঘর বাধ্যতামূলকভাবে পূরণ করতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য পূরণের ধাপে আপনার নাম (বাংলা), ইংরেজি নাম (আগে যে রকম দিয়েছিলেন সে রকমই থাকবে), লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ (আগেরটাই থাকবে) এবং জন্মস্থান বাছাই করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় নিজের নাম ইংরেজি যেভাবে দেওয়া হয়েছে এবং জন্ম তারিখ যা দেয়া হয়েছে তা অটোমেটিক হয়ে যাবে এটি চাইলেও পরিবর্তন করা যাবে না।

যদি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় নিজের ইংরেজি নামে কিংবা জন্ম তারিখে কোন ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে এ একাউন্ট বাতিল করে নতুন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে সঠিক তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

নিজের তথ্য ফিলাপ করার পর পিতার/মাতার তথ্য দিতে বলা হবে। এখন পিতার ও মাতার নাম (বাংলায় ও ইংরেজি) এবং পিতা ও মাতার এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিতে হবে। পিতা ও মাতার ভোটার নাম্বার চাইলে দিতে পারেন, এটি ঐচ্ছিক। পিতা বা মাতা ‍মৃত হইলে তাদের মৃতুর সন উল্লেখ করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন অফিসে ফরম জমা দেয়ার সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তাদের মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।

  • পিতা বা মাতার নাম বাংলায় (আবশ্যিক)
  • পিতা বা মাতার নাম ইংরেজি (আবশ্যিক)
  • পিতা বা মাতার NID Card নাম্বার (অপশনাল)
  • পিতা বা মাতার ভোটার নাম্বার (অপশনাল)
  • মৃত্যুর সন (মৃত হলে)

পিতা বা মাতা মৃত হলে “পিতার তথ্য” বা “মাতার তথ্য” র সাথে মৃত লিখায় টিক মার্ক দিয়ে মৃত্যু সন লিখে দিতে হবে।

এভাবে পিতা মাতার তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। নতুন ভোটার নিবন্ধন এর আবেদনকাল কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। আইডি কার্ডে ভুল হলে তা সংশোধন করা ঝামেলা ও সময়ের ব্যাপার এর জন্য ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন করতে হয়।

অভিভাবকের তথ্য

আপনার অভিভাবকের তথ্য প্রদান করুন। সাধারনত অভিভাবক হিসেবে পিতা কিংবা মাতার তথ্য দেয়া উচিৎ। আপনার অভিভাবক অন্য কেউ হলে তাও দিতে পারবেন। আপনি আপনার অভিভাবক হিসেবে যার তথ্য দিতে চান তার নাম ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিখুন।

এর পরে চলে আসবে বড় ভাই/বোনের তথ্য দেয়ার ফিল্ড। এটি একটি অপশনাল ফিল্ড। চাইলে দিতে পারেন। না দিলেও সমস্যা নেই, এটা খালি রাখতে পারেন।

বৈবাহিক অবস্থা

আপনি অবিবাহিত হলে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে অবিবাহিত সিলেক্ট করে দিন। অবিবাহিত হলে আর কোন তথ্য দিতে হবে না।

আর যদি বিবাহিত হন তা হলে আপনার স্ত্রী / স্বামীর নাম উল্লেখ করে দিতে হবে। আপনার একাধিক স্ত্রী থাকলেও তাদের তথ্য দেয়ার দিতে পারবেন। স্ত্রী মৃত হলে মৃত্যুর সন লিখে দিতে হবে।

তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করা হলে একবার যাচাই করে দেখবেন কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। সব সঠিক থাকলে উপরে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে চাপুন।

ধাপ ৩. অন্যান্য তথ্য

অন্যান্য তথ্যের ঘরে অবশ্যই পূরণ করতে হবে এমন ফিল্ড হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা এবং ধর্ম। আবেদনকারি কোন প্রকার শারীরিক প্রদিবন্ধি হলে তা  অসমর্থতার ঘরে বাছাই করে দিতে পারেন।

  1. শিক্ষাগত যোগ্যতা (আবশ্যিক)
  2. পেশা (আবশ্যিক)
  3. ধর্ম (আবশ্যিক)
  4. অসমর্থতা (প্রযোজ্য হলে)
  5. সনাক্তকরণ চিহ্ন (যদি থাকে)
  6. টিন নাম্বার (যদি থাকে)
  7. ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
  8. পাসপোর্ট (যদি থাকে)

আপনি যে পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তা শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘরে লিখতে হবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ফরম জমা প্রদানের সময় সংযুক্ত করতে হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধি হলে তা উল্লেখ করে দিতে হবে। জন্মদাগ থাকলে যদি দিত চান তাহলে তার বিবরন লিখে দিন। এভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে  এই ধাপটি সমাপ্ত করতে হবে এবং উপরের ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৪. ঠিকানা

এখন আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। এই ধাপটি গুরুত্ব সহকারে পূরণ করতে হবে। প্রথমেই অবস্থানরত দেশ বাছাই করে দিতে হবে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশ থেকে আবেদন করছি তাই অবস্থানরত দেশে বাংলাদেশ বাছাই করবো।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপরের “ভোটার ঠিকানা” বাছাই করা। বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হলে, যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন সেটি ভোটার ঠিকানা হিসেবে টিক দিহ্ন দিয়ে সিলেক্ট করে দিন।

এখানে ভোটার ঠিকানা হিসেবে যেটি বাছাই করবেন সেই ঠিকানায় আপনার ভোটার তালিকায় নাম আসবে। নির্বাচনের সময় এই ঠিকানায় ভোট প্রদান করতে হবে।

বর্তমান ঠিকানা

বর্তমান ঠিকানার স্থলে আপনার বর্তমান ঠিকানা বাছাই করুন। উভয় ঠিকানা একই হলে বর্তমান ঠিকানার স্থানে স্থায়ী ঠিকানাও দিতে পারেন। বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হতে পারে, তাতে কোন সমস্যা নেই।

তার যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হয় তা হলে আপনার ঠিকানা অনুসারে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এসব বাছাই করুন।

ঠিকানা বাছাই করা সহজ কাজ, বিভাগের ঘরে চাপলে বাংলাদেশের সব গুলো বিভাগ চলে আসবে। আপনি আপনার ঠিকানা অনুসারে আপনার বিভাগ সিলেক্ট করে নিলে জেলাতে চাপলে আপনার বিভাগের সকল জেলা দেখতে পাবেন, তার মধ্য থেকে আপনার জেলাটি বাছাই করে দিন। এভাবে পর্যায়ক্রমে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার সম্পূর্ন টিকানা বাছাই করে নিন। মৌজা পর্যন্ত ড্রপ ডাউন মেনু রয়েছে। এর পর ওয়ার্ড নাম্বার টাইপ করুন, পরে গ্রামে আবার ড্রপ ডাউন মেনু রয়েছে। 

গ্রামের ড্রপ ডাউন মেন্যুতে বানানে ভূল থাকলে অন্যান্য সিলেক্ট করে সঠিক গ্রামের নাম লিখতে পারবেন। পোস্ট অফিস লিখার ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের নাম লিখলে ড্রাপ ডাউন মেন্যু থেকে অটোমেটিক চলে আসবে, যদি আপনার পোস্ট অফিসের নাম না আসে তাহলে এই ঘরটি খালি রাখুন। 

স্থায়ী ঠিকানা

ঠিক আগের মতই আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়ে এটি পূরণ করুন। ঠিকানা বাছাই করার সময় নিচের পর্যায়ক্রম অনুসরণ করতে পারেন।

  1. বিভাগ
  2. জেলা
  3. উপজেলা
  4. আর.এম.ও
  5. ইউনিয়ন
  6. মৌজা
  7. গ্রাম/রাস্তা
  8. বাসা/হোল্ডিং
  9. পোস্ট অফিস
  10. পোস্ট কোড
  11. ভোটার এরিয়া

আপনার স্থায়ী ঠিকানা অনুসারে যাবতীয় তথ্য দিয়ে এই ফরম ফিলাপ করুন। আপনার সকল তথ্য পূরণ করার পর ভালো করে ভোটার তথ্য যাচাই করুন। সব ঠিক থাকলে উপরের ডান দিকের পরবর্তী বাটনে চাপুন।

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য অনলাইনে কোন ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয় না। আপনার যে সব কাগজ জমা দিতে হবে তা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। তাই এই ধাপটি কিছু না করেই পরবর্তী ধাপে চলে যাবো।

ধাপ ৫. আবেদন সাবমিট

আপনার নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদনটি সাবমিট করার জন্য উপরের ডান পাশে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার সম্পূর্ণ আবেদনটি নিশ্চিত করে এই ধাপে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।

আপনার যদি মনে হয় কোথাও কোন ভুল করে ফেলেছেন, তা হলে “পেছনে” নামক বাটনে চেপে পূর্ববর্তি ধাপে যেতে পারবেন। পুনরায় আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার আবেদন চূড়ান্ত সাবমিট করুন।

ধাপ ৬. আবেদনপত্র কপি ডাউনলোড

অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন এর আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনার সামনে আবেদন সামারি বা ভোটার আবেদন পত্র ডাউনলোডের জন্য একটি বাটন দেখতে পাবেন। উপরের ডান পাশে “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করুন।

 এই আবেদন পত্র প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস নিয়ে আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক আপনি নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন পত্র ও নতুন আইডি কার্ড করতে যে সমস্ত কাগজ প্রয়োজন বলা হয়েছে তা জমা প্রদান করুন।

আপানার নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদনটি জমা দেয়ার পর আবেদনটি উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিস যাচাই বাছাই করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য ম্যাসেজ দেয়া হবে। 

আপনার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলেই আপনি অনলাইন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

নতুন জন্ম নিবন্ধন ও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার নিয়ম জানতে নিচের পোস্টগুলো পড়ুনঃ

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম ২০২৩

নতুন ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর

আমি পূর্বে যথাসময়ে ভোটার হতে পারিনি, এখন কিভাবে ভোটার হব?

আপনি যে কোন সময়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আমি আগে ভোটার নিবন্ধর করেছি, কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কি নতুন আইডি কার্ড পেতে পারি?

উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগে।

ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

ভোটার তালিকার ডাটাবেজে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার সুযোগ নাই।

ছবি তোলার কত দিন পর এন আই ডি কার্ড পাওয়া যায়?

ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তোলার ১ মাসের মধ্যেই এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়। তবে যখন নতুন ভোটার হালনাগাদের কাজ চলমান থাকে, তখন কাজের চাপ বেশি হওয়ার কারণে ২ থেকে ৩ মাস লাগতে পারে।

নতুন আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

নতুন আইডি কার্ড করতে কোন টাকা লাগে না।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *