অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করবেন? কি কি কাগজপত্র লাগবে? জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও আবেদন ফি কত? নতুন জন্ম নিবন্ধন এবং জন্ম সনদপত্র সংগ্রহের মাধ্যম জানতে আমাদের এই পোস্ট মনযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে কি কি লাগবে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো।
বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায়না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরন করতে হবে।
- 1 অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
- 2 জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
- 3 অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
- 4 সনদ সংগ্রহ
- 5 অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- 5.1 জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
- 5.2 নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
- 5.3 জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
- 5.4 জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?
- 5.5 জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
- 5.6 জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
- 5.7 বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?
- 5.8 পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?
- 5.9 জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক এবং ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে বা সনদ সংগ্রহ করতে কোন ফি প্রদান করতে হয় না।
বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।
অন্যথায়, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং ঝামেলা পোহাতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
- ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
- হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ
- আবেদনকারী পিতা বা মাতার মোবাইল নম্বর
শিশুর বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। জন্ম নিবন্ধন করার নিম্মোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে;
শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ
- ইপিআই (টিকা) কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
- পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ
- ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
- আবেদনকারীর পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
- ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ
- বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
- সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
- অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
- অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
আমাদের অনেকেই জানেন না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়? তাই এই ব্লগে আমি সব কিছু বিস্তারিত তুলে ধরলাম।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন ওয়েব সাইট হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
ধাপ ১: নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির জন্ম সনদ সংগ্রহের ঠিকানা বাছাই করুনঃ
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন এর জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের মত একটি পেইজ দেখা যাবে।
আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন। আপনি পরবর্তীতে কোন ঠিকানা হতে সনদ গ্রহণ করবেন সে ঠিকানা বাছাই করুন।
অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ২: নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
পরবর্তী ক্লিক করা পর খুব সতর্কতার সহিত পূরণ করতে হবে।
নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।
যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।
যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে একটি স্প্যাস দিয়ে দিবেন। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।
একইভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। তারপর জন্ম তারিখ সঠিকভাবে পূরণ করবেন। পূরণ করার পর নিচের ছবির মতো অপশন আসবে, এখান লাল চিহ্নিত দাগে অর্থাৎ “আমার কাছে এই ডকুমেন্টগুলি আছে” বাটনে ক্লিক করবেন।
এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।
সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: পিতা ও মাতার তথ্য
এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিতে হবে।
এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।
এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, এখানে পিতা মাতার তথ্য আসবে না।
তবে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে। এখানে খুব খেয়াল করে পিতা-মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজীতে লিখবেন এবং জাতীয়তা সিলেক্ট করবেন।
তথ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।
এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।
স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।
অন্যথায়, ঠিকানাগুলো একই না হলে,তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: আবেদনকারীর তথ্য
এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারা’ই করে থাকেন।
তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
নিচে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে নিবন্ধনকারীর বয়স প্রমানের দলিল এবং পিতা বা মাতার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ পত্র সংযোজন করুন। খেয়াল রাখতে হবে স্ক্যানকৃত দলিল যেন ১০০ কেবি এর নিচে হয়। ছবি আপলোড করে ফাইল টাইপ সিলেক্ট করুন। তারপর স্ট্রাট বাটনে ক্লিক করুন। সাহায্যের জন্য নিচের ছবিগুলো লক্ষ করুন।
তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: আবেদন সাবমিট
এখন আপনার সব তথ্য আরো একবার যাচাই করে নিচে আপনার সঠিক ফোন নাম্বার প্রদান করুন। তারপর ওটিপি পাটান বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ফোনে যে অটিপি আসবে তা বসিয়ে দিযে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ 7: নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
আবেদন পত্রটি সাবমিট হয়ে গেলে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে উপরে পৃষ্টার বাম দিকে আবেদন কারীর এক কপি ছবি লাগিয়ে প্রয়োজনী সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে নির্দিষ্ট জায়গায় ওয়ার্ড সদস্য/কাউন্সিলর এর স্বাক্ষরগ্রহণপূর্বক তা উপরে বাছাইকৃত নিবন্ধক কার্যালয়ে ১৫দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
সনদ সংগ্রহ
নিবন্ধক কার্যালয় যদি আপনার অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন উপযুক্ত মনে করে তাহলে পরবর্তী ৭-১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে সনদপত্রটি প্রদান করবে। আপনি বাসায় বসে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করতে পারবেন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে। বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে।
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?
সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।
জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
জন্ম নিবন্ধনের ফির পরিমাণ বয়স ভেদে- ২৫/- বা ৫০/-।
জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
না। জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।
বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?
না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?
হ্যা, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলেও শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।
৫টি ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হয়। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ /১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।