লন্ডন কেয়ার ভিসা আপডেট 2024

লন্ডন কেয়ার ভিসা 2024 সালেও চালু থাকবে। এই ভিসায়, লন্ডনে অবস্থিত স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেয়ার ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করার জন্য যোগ্য প্রার্থীরা যুক্তরাজ্যে কাজ করার অনুমতি পেতে পারেন।

যোগ্যতা

লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য যোগ্য হতে, প্রার্থীদের নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে হবে:

  • তারা অবশ্যই একটি কেয়ার ওয়ার্কিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে যা কমপক্ষে 12 মাসের স্থায়িত্বের এবং যা একটি স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত।
  • তারা অবশ্যই একটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • তাদের অবশ্যই একটি লন্ডনের স্বাস্থ্যসেবা বা সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি স্পন্সরশিপ অফার থাকতে হবে।

প্রক্রিয়া

লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, প্রার্থীদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. একটি ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
  2. প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দিন, যার মধ্যে রয়েছে:
    • একটি কেয়ার ওয়ার্কিং কোর্সের স্নাতক ডিপ্লোমা
    • একটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর
    • একটি লন্ডনের স্বাস্থ্যসেবা বা সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি স্পন্সরশিপ অফার
  3. ভিসা ফি প্রদান করুন।

খরচ

লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন ফি হল £750।

সুবিধা

লন্ডন কেয়ার ভিসার সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • যুক্তরাজ্যে কাজ করার অনুমতি
  • ইংল্যান্ডে বসবাস করার অনুমতি
  • পরিবারের সদস্যদের সাথে যুক্তরাজ্যে বসবাস করার অনুমতি

সতর্কতা

লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, প্রার্থীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • এই ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, প্রার্থীদের অবশ্যই একটি কেয়ার ওয়ার্কিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে যা কমপক্ষে 12 মাসের স্থায়িত্বের এবং যা একটি স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত।
  • তারা অবশ্যই একটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • তাদের অবশ্যই একটি লন্ডনের স্বাস্থ্যসেবা বা সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি স্পন্সরশিপ অফার থাকতে হবে।

সর্বশেষ আপডেট

2024 সালের 9ই অক্টোবর পর্যন্ত, লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি।

লন্ডন কেয়ার ভিসার কি কি আপডেট আসবে 2024 এ?

2024 সালে লন্ডন কেয়ার ভিসার বেশ কিছু আপডেট আসছে। এই আপডেটগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য নতুন নিয়ম: 2024 সালের 1 জানুয়ারী থেকে, কেয়ার ভিসার জন্য আবেদনকারীদের তাদের নির্দিষ্ট কেয়ার কোম্পানিতে একটি নির্দিষ্ট পদে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়াও, তাদের কেয়ার কোম্পানির সাথে একটি স্পন্সরশিপ চুক্তি থাকতে হবে। এই পরিবর্তনগুলি কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সুস্পষ্ট এবং জবাবদিহিমূলক করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
  • নতুন শিক্ষাগত প্রয়োজনীয়তা: 2024 সালের 1 সেপ্টেম্বর থেকে, কেয়ার ভিসার জন্য আবেদনকারীদের কমপক্ষে একটি GCSE বা সমতুল্য ডিগ্রি থাকতে হবে। এই পরিবর্তনটি কেয়ার পেশায় দক্ষতা এবং যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে।
  • নতুন ভাষা প্রয়োজনীয়তা: 2024 সালের 1 অক্টোবর থেকে, কেয়ার ভিসার জন্য আবেদনকারীদের কমপক্ষে IELTS 4.0 স্কোর থাকতে হবে। এই পরিবর্তনটি কেয়ার পেশায় যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে।

এই আপডেটগুলি 2024 সালে লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনাকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনকারীদের অবশ্যই এই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং তাদের আবেদন প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিতে হবে।

এখানে 2024 সালে লন্ডন কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার সময় বিবেচনা করার জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে:

  • আপনার আবেদনটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দিন। 2024 সালের 1 জানুয়ারী থেকে ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য নতুন নিয়মগুলি কার্যকর হবে, তাই আপনার আবেদনটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করুন। আপনার আবেদনে, আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • আপনার ভাষা দক্ষতা প্রদর্শন করুন। আপনার আবেদনে, আপনার IELTS স্কোরের একটি কপি অন্তর্ভুক্ত করুন।

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার লন্ডন কেয়ার ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ এবং সফল করতে পারেন।

কেয়ার ভিসা কি ওয়ার্কার আর নিবে বাংলাদেশ থেকে?

হ্যাঁ, কেয়ার ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্কার নেওয়া হবে। ব্রিটিশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কেয়ার ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ভিসার আওতায় বাংলাদেশি কেয়ার ওয়ার্কাররা ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন।

কেয়ার ভিসায় আবেদনের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ পূরণ করতে হবে:

  • বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে
  • মাধ্যমিক বা সমমানের শিক্ষা
  • কেয়ারওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতা

কেয়ার ভিসার আবেদনপত্র ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর, ব্রিটিশ সরকারের একটি নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের নির্বাচন করবে। নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে উত্তীর্ণ হলে, প্রার্থীরা কেয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্রিটিশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, কেয়ার ভিসার মেয়াদ হবে ১২ মাস। তবে, ভালো কাজের রেকর্ডের ভিত্তিতে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

কেয়ার ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্কার নেওয়ার উদ্দেশ্য হল ব্রিটেনের বয়স্ক জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট চাহিদা পূরণ করা। ব্রিটিশ সরকার আশা করছে যে, এই ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কেয়ার ওয়ার্কাররা ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অবদান রাখবেন।

লন্ডন কেয়ার ভিসা কি বন্ধ হয়ে যাবে?

হ্যাঁ, লন্ডন কেয়ার ভিসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্রিটেনের সরকার নেট মাইগ্রেশন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং কেয়ার ভিসায় বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মী আসার কারণে এই ভিসার সংখ্যা কমানো বা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে।

ব্রিটেনের ইমিগ্রেশনমন্ত্রী রবার্ট জেনেরিক বলেছেন, কীভাবে কেয়ার সেক্টরে বিদেশি কর্মী কমানো যায় সে ব্যাপারে সরকার শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, কেয়ার ভিসায় আসা অনেক কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা না থাকায় তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেশি।

ব্রিটেনের হোম অফিস ইতিমধ্যেই কেয়ার ভিসায় নতুন শর্ত আরোপ করেছে। নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে:

  • আবেদনকারীদের অবশ্যই কমপক্ষে 12 মাসের কেয়ার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীদের অবশ্যই কমপক্ষে ন্যূনতম ইংরেজি ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীদের অবশ্যই তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি বৈধ স্পন্সরশিপ লাভ করতে হবে।

এই নতুন শর্তগুলির ফলে কেয়ার ভিসার জন্য আবেদনকারীদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদি ব্রিটেন সরকার কেয়ার ভিসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে এটি ব্রিটেনের কেয়ার সেক্টরের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কেয়ার সেক্টরে বর্তমানে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন কর্মী কাজ করছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৫% বিদেশি কর্মী। বিদেশি কর্মীদের অনুপস্থিতিতে কেয়ার সেক্টরে জনবল ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সেবা প্রদানকে ব্যাহত করতে পারে।

বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ কেয়ার ভিসার মাধ্যমে লন্ডনে এসে কেয়ার ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন। কেয়ার ভিসা বন্ধ হলে এসব কর্মীরা তাদের চাকরি হারাতে পারেন।

ইতালি স্পন্সর ভিসা 2023 আপডেট
ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নতুন আপডেট ২০২৩

Leave a Comment