ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন। ইন্দোনেশিয়া ভিসা ফি ভিসার ধরন এবং ভিসা আবেদন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে।
ভিসা ধরন অনুসারে ভিসা ফি
- সাধারণ ভিসা (Single Entry Visa): ৫৫ মার্কিন ডলার
- মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (Multiple Entry Visa): ১১০ মার্কিন ডলার
- চাকরি ভিসা (Work Visa): ১৫০ মার্কিন ডলার
- ছাত্র ভিসা (Student Visa): ১৫০ মার্কিন ডলার
- ব্যবসায়িক ভিসা (Business Visa): ১৫০ মার্কিন ডলার
ভিসা আবেদন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ভিসা ফি
- অনলাইন ভিসা (e-Visa): ৫৫ মার্কিন ডলার
- প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে ভিসা (Embassy or Consulate Visa): ৫৫ মার্কিন ডলার
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে, নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট (অন্তত ৬ মাস মেয়াদ থাকা আবশ্যক)
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসা ফি
ভিসা আবেদন ফর্ম ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ভিসা ফি অনলাইনে বা দূতাবাস বা কনস্যুলেটে জমা দেওয়া যাবে।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইন ভিসার জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- ইন্দোনেশিয়ার ই-ভিসার ওয়েবসাইটে যান।
- “Apply for Visa” নির্বাচন করুন।
- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ভ্রমণের তথ্য প্রবেশ করুন।
- ভিসা ফি প্রদান করুন।
- ভিসার জন্য আবেদন করুন।
প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন করতে হলে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে ভিসা আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করুন।
- ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
- ভিসা ফি প্রদান করুন।
- ভিসা আবেদন জমা দিন।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক দিন সময় নেয়। ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, ভিসার মেয়াদ এবং প্রবেশাধিকারের প্রকার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
ইন্দোনেশিয়া ভিসা কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইন্দোনেশিয়া ভিসা মূল্য নিম্নরূপ:
- অন-এরাইভাল ভিসা (৩০ দিন): ১১০ মার্কিন ডলার বা ১১,০০০ ইন্দোনেশিয়ান রুপি
- ভিসা অন অ্যাপ্লিকেশন (৩০/৬০/৯০/১৮০ দিন): ১৩০ মার্কিন ডলার বা ১৩,০০০ ইন্দোনেশিয়ান রুপি
- সেকেন্ড হোম ভিসা (৫/১০ বছর): ১ কোটি টাকা
অন-এরাইভাল ভিসা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে পাওয়া যায়। ভিসা অন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে আবেদন করতে হয়। সেকেন্ড হোম ভিসা ইন্দোনেশিয়ায় সম্পত্তি ক্রয় বা বিনিয়োগের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন-এরাইভাল ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
ভিসার জন্য আবেদনের সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়:
- পাসপোর্ট (যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে)
- আবেদনপত্র
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- রিটার্ন টিকেট
- থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- আয়ের প্রমাণ
ইন্দোনেশিয়া ভিসা জন্য আবেদন করার জন্য অনলাইনে বা সরাসরি ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যেতে পারেন।
ইন্দোনেশিয়া যেতে কি ভিসা লাগবে
হ্যাঁ, ইন্দোনেশিয়া যেতে ভিসা লাগবে। বাংলাদেশের নাগরিকদের ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের জন্য ইন্দোনেশিয়ান ভিসা প্রয়োজন। ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, আপনাকে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেট পরিদর্শন করতে হবে বা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তবে আপনাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র স্ক্যান করে জমা দিতে হবে এবং ভিসার ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। ভিসার ফি বাংলাদেশী টাকায় ৫,০০০ টাকা।
ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে নিম্নলিখিত নথিপত্র প্রদান করতে হবে:
- একটি সম্পূর্ণ ভিসা আবেদন ফর্ম
- একটি বৈধ পাসপোর্ট যা আপনার ভ্রমণের তারিখের পর কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে
- একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- একটি ভিসা ফি ট্রেজারী চালান
- একটি হোটেল বুকিং বা আবাসনের প্রমাণ
- একটি রিটার্ন টিকিট বা পরবর্তী গন্তব্যের টিকিট
- একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট যা আপনার আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়
আপনার আবেদন যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনাকে একটি ইন্দোনেশিয়ান ভিসা দেওয়া হবে যা আপনাকে 30 দিনের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করার অনুমতি দেবে। আপনি যদি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় থাকতে চান তবে আপনাকে একটি ভিসা এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া ইন্দোনেশিয়া যাওয়া যাবে
হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া ইন্দোনেশিয়া যাওয়া যায়। বাংলাদেশি নাগরিকরা ইন্দোনেশিয়ায় এক মাসের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার পান। এই সুবিধাটি ২০১৬ সালের ১ আগস্ট থেকে চালু হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা ছাড়া প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয়তা:
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
- আপনার কাছে ফিরতি টিকেট থাকতে হবে।
- আপনার কাছে ইন্দোনেশিয়ায় থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা ছাড়া প্রবেশের প্রক্রিয়া:
- ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের জন্য আপনাকে ইমিগ্রেশন অফিসারকে আপনার পাসপোর্ট, ফিরতি টিকেট এবং ইন্দোনেশিয়ায় থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ প্রদর্শন করতে হবে।
- ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্টে একটি ভিসা ছাড়া প্রবেশের স্ট্যাম্প দেবেন।
ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা ছাড়া প্রবেশের সুবিধা:
- এই সুবিধাটি বাংলাদেশিদের জন্য ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তোলে।
- আপনি ইন্দোনেশিয়ায় এক মাসের জন্য অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস:
- ইন্দোনেশিয়ায় প্রচুর জনসংখ্যা রয়েছে, তাই ভিড়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
- ইন্দোনেশিয়ায় অনেক ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। আপনার ভ্রমণের সময় সেগুলি দেখতে ভুলবেন না।
- ইন্দোনেশিয়ায় প্রচুর সুস্বাদু খাবার রয়েছে। স্থানীয় খাবার চেষ্টা করতে ভুলবেন না।
ইন্দোনেশিয়া একটি সুন্দর এবং বৈচিত্র্যময় দেশ। ভিসা ছাড়া প্রবেশের সুবিধাটি বাংলাদেশিদের জন্য এই দেশটিকে আরও বেশি করে উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়।
৬ মাস ইন্দোনেশিয়া থাকা যাবে কি
হ্যাঁ, আপনি ৬ মাস ইন্দোনেশিয়া থাকতে পারবেন। ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা-মুক্ত থাকার সময়সীমা ৯০ দিন। আপনি যদি ৬ মাস ইন্দোনেশিয়ায় থাকতে চান তবে আপনাকে একটি ভিসা নিতে হবে। ইন্দোনেশিয়ায় ভিসার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন নির্ভর করবে আপনি ইন্দোনেশিয়ায় কেন যাচ্ছেন তার উপর।
যদি আপনি ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন করতে যাচ্ছেন তবে আপনাকে একটি পর্যটন ভিসা নিতে হবে। পর্যটন ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিন। আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবসা করতে যাচ্ছেন তবে আপনাকে একটি ব্যবসা ভিসা নিতে হবে। ব্যবসা ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করতে যাচ্ছেন তবে আপনাকে একটি কর্মী ভিসা নিতে হবে। কর্মী ভিসার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা নিতে, আপনাকে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রদান করতে হবে:
- একটি সম্পূর্ণ ভিসা আবেদন ফর্ম
- একটি পাসপোর্ট যা আপনার ভ্রমণের তারিখের কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বৈধ
- একটি ছবি
- একটি ভিসা ফি
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা নিতে চান তবে আপনার আবেদন জমা দেওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে ভিসার প্রয়োজনীয়তা এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে পারবে।
ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য, আপনি ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ৬ মাস থাকার পরিকল্পনা করেন তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দেব যে আপনি একটি ভিসা নিন। এটি আপনাকে অবৈধভাবে ইন্দোনেশিয়ায় থাকার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।