ঘরে বসে কিভাবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা বর্তমানে অত্যন্ত সহজ এবং সময়সূচক হয়েছে যেন আপনি অপনার ঘরের সুবিধায় পরিষ্কারভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। ই-পাসপোর্টের জন্যনতুনও প্রয়াস সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সহজ এবং সহজ করেছে আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি। পাসপোর্ট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় দলিল, এবং এটি আপনাকে বিদেশে ভ্রমণ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘরে বসেই ই-পাসপোর্ট জন্য আবেদন করে সময় এবং কষ্ট উভয়ই সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মিনিমাইজ করতে পারেন। নিজেকে একটি দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে না হয়ে, আপনি সহজেই মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেন। 

ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৩

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়মাবলী ২০২৩ অনুসারে এই নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

অনলাইনে আবেদন: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে প্রথমে আপনাকে সরকারি পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন পোর্টালে (অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন সিস্টেম – Online Passport Application System) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদন ফরম পূরণ: নিবন্ধন সম্পন্ন হলে, আপনাকে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথিপত্রগুলি সংযোজিত করতে হবে।

ডকুমেন্ট সংযোজন: ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় আপনাকে বিভিন্ন দলিলপত্র সংযোজন করতে হবে, যেমন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণপত্র, আবাসন  সম্পন্ন করতে হবে.

ছবি আপলোড: আবেদনের সময় আপনাকে একটি নির্দিষ্ট আকার এবং নির্দিষ্ট সাদা পটার্নের ছবি আপলোড করতে হবে। নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী ছবিটি গ্রাফিক্স এবং ছবির মান পর্যবেক্ষণ করে সাধারণত সংগ্রহ করা হয়।

অনলাইন প্রদান এবং মাল্টিপল ভিসা এপ্লিকেশন: ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় আপনাকে প্রয়োজনীয়ভাবে আপনার অবস্থানের সত্যতা প্রমাণের জন্য একটি অনলাইন প্রদান পত্র সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও, যদি আপনি একটি মাল্টিপল ভিসা এপ্লিকেশন জমা দিতে চান, তবে আপনাকে এই প্রক্রিয়াটি অন্যদিকে সম্পন্ন করতে হবে।

টাকা প্রদান: ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। এই ফি অনলাইনে পেমেন্ট করা যায় 

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সময় আপনার নিম্নলিখিত পত্র এবং তথ্যগুলির প্রয়োজন হবে:

জন্মনিবন্ধন সনদ: জন্মনিবন্ধন সনদ প্রমাণ করার জন্য আপনার জন্মনিবন্ধন সনদের কপি সংযোজিত করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণপত্র: শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণপত্রের সাথে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রের কপি সংযোজিত করতে হবে।

আবাসন প্রমাণপত্র: নিজের আবাসন প্রমাণের জন্য আপনার আবাসন প্রমাণপত্রের কপি সংযোজিত করতে হবে। এটি নিম্নলিখিত একটি দলিল হতে পারে: বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি বিল, ভূমিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিকানার মধ্যে চুক্তি, কর্পোরেট/পাবলিক পরিবহন নিকট গাড়ির হাজিরা চিঠি ইত্যাদি।

পাসপোর্টের ছবি: নির্দিষ্ট আকার এবং সাদা পটার্নের পাসপোর্টের ছবি সংযোজিত করতে হবে।

ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশনাবলী কি কি লাগে?

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের জন্য আপনার নিম্নলিখিত তথ্য এবং পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করতে হবে:

আবেদনকারীর তথ্য: ফরমে আপনার পূর্ণ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ধর্ম, জাতীয়তা, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, বেসরকারি/সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

পাসপোর্ট বিতরণের জন্য ঠিকানা: আপনার বর্তমান ঠিকানা, মূল বাসস্থান, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

যাত্রায় ব্যবহৃত নাম: আপনি যখন বিভিন্ন দেশে যাত্রা করছেন তখন ব্যবহৃত নামগুলি তালিকাভুক্ত করতে হবে।

যাত্রার তথ্য: আপনার যাত্রার সংশ্লিষ্ট তথ্য যেমন মেয়াদ, ধরণ (বেশিরভাগে এয়ারলাইন বা সাধারণ মাধ্যমে), টিকিট নম্বর ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কত টাকা লাগে?

পাসপোর্ট আবেদনের মূল্য দেশ এবং পাসপোর্ট প্রকারের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তণ করতে পারে। বিভিন্ন দেশে পাসপোর্ট আবেদনের খরচ পরিবর্তন করতে পারে এবং এছাড়াও পাসপোর্টের প্রকার ভিন্ন হতে পারে, যেমন সাধারণ পাসপোর্ট, ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট, ব্যবসায়িক পাসপোর্ট ইত্যাদি। একটি সাধারণ পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশে আবেদনের খরচ ছাড়াও অন্যান্য নথি প্রদানগুলির খরচও যোগ করতে হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন ফি হলো ৫,৫০০ টাকা পর্যন্ত যদি আপনি রেজিস্ট্রার অফিসে নিজে গিয়ে আবেদন করেন। তবে, আবেদন ফি সরবরাহকারী এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।

ই পাসপোর্ট হাতে আসতে কতদিন সময় লাগে?

পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য সময় বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভিন্ন হতে পারে এবং এটা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের দক্ষতা, কার্যক্রমের চাহিদা এবং বর্তমান সময়ের পর্যাপ্ততা নির্ভর করে। তবে, সাধারণত এটা সময়মতো প্রক্রিয়া নিয়ে নিম্নলিখিত কিছু সময়সীমা বাড়ানোর কারণে হতে পারে:

সাধারণ প্রয়োজনীয় সময়: ধারণক্ষমতা পাসপোর্ট কেন্দ্রের সাথে পাসপোর্টের সঠিক আবেদন পূরণ, আবেদনের জন্য সময়ের নির্ধারণ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া যেমন তথ্য যাচাই এবং ছবির প্রদর্শন। সাধারণত এই প্রক্রিয়া কিছু সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়।

ইউনাইটেড স্টেটস: সাধারণত 4-6 সপ্তাহ পর্যন্ত। প্রাথমিক আবেদনের জন্য সময় অবশ্যই বেশি লাগতে পারে।

যুক্তরাজ্য: সাধারণত 3-6 সপ্তাহ পর্যন্ত। আপনি একটি দ্রুত প্রয়োজনের জন্য অতিক্রান্ত সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন।

কানাডা: সাধারণত 10-20 সপ্তাহ পর্যন্ত। প্রাথমিক প্রয়োজনে অতিক্রান্ত সেবা উপলভ্য আছে।

অস্ট্রেলিয়া: সাধারণত 3-6 সপ্তাহ পর্যন্ত। আপনি দ্রুত প্রয়োজনে একটি প্রিমিয়াম সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

Read more about work permit visa

লন্ডন ভিজিট ভিসার ডকুমেন্টস কি কি লাগে?

কিভাবে পর্তুগাল দুই বছরের ভিতর নাগরিকত্ব পাবেন

ইতালি নন সিজনাল ভিসা সর্বশেষ আপডেট

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *