কানাডা একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কানাডা ভ্রমণ করেন। কানাডা ভিজিট ভিসা বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা বেশ সহজ। তবে, কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য যোগ্যতা
- বাংলাদেশী নাগরিকত্ব থাকতে হবে।
- কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে।
- কানাডা ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং প্রমাণ থাকতে হবে।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পূরণ করা আবেদনপত্র
- পাসপোর্টের কপি
- পুরানো পাসপোর্টের কপি
- ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- টিকিটের কপি
- হোটেল বুকিং
- আমন্ত্রণপত্র
কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করা অনলাইনে বা কানাডিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে করা যেতে পারে। অনলাইনে আবেদন করলে ফি প্রদান করতে হবে। কানাডিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করলে ফি প্রদানের প্রয়োজন নেই।
কানাডা ভিজিট ভিসার প্রসেসিং সময়
কানাডা ভিজিট ভিসার প্রসেসিং সময় সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহ। তবে, ভিসার ধরন এবং আবেদনকারীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে প্রসেসিং সময় দীর্ঘ হতে পারে।
কানাডা ভিজিট ভিসার খরচ
কানাডা ভিজিট ভিসার ফি নির্ভর করে ভিসার ধরন এবং আবেদনকারীর বয়সের উপর।
কানাডা ভিজিট ভিসা পেতে কিছু টিপস
- আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণ পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দিন।
- আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রমাণ দিন।
- কানাডা ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং প্রমাণ দিন।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করার আগে কানাডিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে ভিসা সম্পর্কিত তথ্য দেখে নিন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট ভিসা কিভাবে করবো?
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য যোগ্যতা যাচাই করুন। কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য যোগ্য হওয়ার জন্য, আপনার নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে হবে:
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে 6 মাস থাকতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টে কমপক্ষে 1টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- আপনার একটি বৈধ ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
- আপনার আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
- কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফর্মটি কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব বিভাগের (IRCC) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন ফর্মটি পূরণ করার সময়, আপনার সঠিক তথ্য এবং বিবরণ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিন। কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে:
- একটি সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদন ফর্ম
- আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি
- আপনার পাসপোর্টের 1 ও 2 নম্বর পৃষ্ঠার ফটোকপি
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, যদি আপনি নাবালক হন)
- দুটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ
- আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ
- আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রমাণ
- আপনার আবেদনপত্র জমা দিন। আপনি আপনার আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিকটস্থ কানাডিয়ান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে জমা দিতে পারেন।
- আপনার আবেদনের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রায় 10-15 দিন সময় লাগে। আপনার আবেদনের অবস্থান চেক করতে, আপনি IRCC-এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার আবেদনপত্র অনুমোদিত হলে, আপনাকে একটি ভিসা স্ট্যাম্প দেওয়া হবে। এই স্ট্যাম্পটি আপনার পাসপোর্টে লাগানো হবে এবং এটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কানাডা ভ্রমণের অনুমতি দেবে।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
- আপনার আবেদনপত্রটি সঠিক এবং সম্পূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- আপনার আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টস জমা দিন।
- আপনার আর্থিক অবস্থা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সৎ হন।
- আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রমাণ প্রদান করুন।
আপনার আবেদনপত্র অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি করতে পারেন:
- আপনার আবেদনপত্রের সাথে একটি কভার লেটার জমা দিন যা আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যাখ্যা করে।
- আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ হিসাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতনপত্র বা অন্য কোনও আর্থিক নথি জমা দিন।
- আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন, যেমন আপনি কানাডায় কোথায় যাচ্ছেন, আপনি কতদিন থাকছেন এবং আপনি কী করতে চান।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাকে কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদন করতে সহায়তা করবে।
কানাডার ভিসা কত প্রকার?
কানাডার ভিসা মূলত পাঁচ প্রকারের হয়ে থাকে।
- ভিজিটর ভিসা (TRV): এই ভিসা কানাডা ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়। ভ্রমণের উদ্দেশ্য হতে পারে পর্যটন, ব্যবসা, বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত কারণ। ভিজিটর ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- স্টুডেন্ট ভিসা (Study Permit): এই ভিসা কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য দেওয়া হয়। স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত পড়াশোনার মেয়াদের সমান হয়।
- কর্মসংস্থান ভিসা (Work Permit): এই ভিসা কানাডায় কাজ করার জন্য দেওয়া হয়। কর্মসংস্থান ভিসার মেয়াদ সাধারণত কাজের চুক্তির মেয়াদের সমান হয়।
- স্থায়ী আবাস ভিসা (Permanent Resident Visa): এই ভিসা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য দেওয়া হয়। স্থায়ী আবাস ভিসার মেয়াদ সাধারণত অনির্দিষ্টকালের জন্য হয়ে থাকে।
- অন্যান্য ভিসা (Other Visas): এই ভিসার মধ্যে রয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ভিসা, মানবিক সহায়তার জন্য ভিসা, এবং অন্যান্য বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য ভিসা।
এছাড়াও, কানাডার ভিসার বিভিন্ন শ্রেণী রয়েছে। ভিসার শ্রেণী ভিত্তিক ভিসার মেয়াদ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র, এবং অন্যান্য শর্তাবলী নির্ধারিত হয়।
কানাডার ভিসা আবেদনের জন্য, আবেদনকারীকে অবশ্যই কানাডার সরকারের নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করা যায়।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা খরচ হয়?
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে মোট খরচ নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরণের উপর। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। এই খরচের মধ্যে রয়েছে:
- পাসপোর্ট ফি: ৪,২৫০ টাকা থেকে ৫,৭৫০ টাকা
- আইইএলটিএস ফি: ২০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা
- বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি: ১০০ থেকে ১৫০ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৪০,০০০ টাকা)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি: ৫০০ টাকা
- ভিসা ফি: ৬৭৫ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ২৫,০০০ টাকা)
- বিমান ভাড়া: ১,০০,০০০ টাকা থেকে ১,৫০,০০০ টাকা
- থাকার ব্যবস্থা: ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা প্রতি মাসে
- খাওয়া-দাওয়া: ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে
- অন্যান্য খরচ: ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা
উল্লেখ্য যে, এই খরচগুলি কেবলমাত্র একটি অনুমান। বাস্তব খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে খরচ হবে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এই খরচের মধ্যে রয়েছে:
- পাসপোর্ট ফি: ৪,২৫০ টাকা থেকে ৫,৭৫০ টাকা
- ভিসা ফি: ৬৭৫ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ২৫,০০০ টাকা)
- বিমান ভাড়া: ১,০০,০০০ টাকা থেকে ১,৫০,০০০ টাকা
- থাকার ব্যবস্থা: ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা প্রতি মাসে
- খাওয়া-দাওয়া: ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে
- অন্যান্য খরচ: ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা
উল্লেখ্য যে, এই খরচগুলি কেবলমাত্র একটি অনুমান। বাস্তব খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
আপনি যদি কানাডা যেতে চান, তাহলে আপনার প্রথমে আপনার ভিসার ধরণ নির্ধারণ করতে হবে। এরপর, আপনার প্রয়োজনীয় খরচের হিসাব করে আপনার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
- আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণ হতে কমপক্ষে ছয় মাস বাকি থাকতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- আপনার অবশ্যই একটি বৈধ ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- আপনার অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দিতে হবে।
- আপনার অবশ্যই একটি ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি
আপনার অবশ্যই নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:
- পূর্ন ভিসা আবেদন ফর্ম
- আপনার পাসপোর্টের মূল এবং ফটোকপি
- একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি
- আপনার আর্থিক অবস্থার প্রমাণ, যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ, বা অন্যান্য আয়ের উৎসের প্রমাণ
- আপনার থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ, যেমন হোটেল বুকিং বা বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের আমন্ত্রণপত্র
- আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ, যেমন টিকিট, হোটেল বুকিং, বা অন্যান্য পরিকল্পনার বিবরণ
- আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রমাণ, যেমন টিকিট, বা অন্যান্য পরিকল্পনার বিবরণ
ভিসা ফি
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। ফির পরিমাণ আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ এবং আপনার জাতীয়তার উপর নির্ভর করে।
ভিসা প্রক্রিয়া
আপনার ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর, ইমিগ্রেশন, রিফিউজিস এবং সিটিজেনশিপ কানাডা (IRCC) আপনার আবেদনটি পরীক্ষা করবে। IRCC আপনার আবেদনটি অনুমোদন করলে, তারা আপনাকে একটি ভিসা ইস্যু করবে। ভিসার মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস।
ভিসা আবেদন করার সময়
আপনার ভিসা আবেদন করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
- আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিন।
- আপনার আবেদনের সাথে আপনার আর্থিক অবস্থা এবং থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ প্রদান করুন।
- আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ প্রদান করুন।
- আপনার দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার প্রমাণ প্রদান করুন।
আপনার ভিসা আবেদনটি যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন। আপনি আপনার ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত কানাডায় থাকতে পারবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন
আপনি কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। IRCC-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
আপনি যদি কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে IRCC-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আরও তথ্য পাবেন।
কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম
কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম সাধারণত 15-20 কার্যদিবস। তবে, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে। যেমন, আপনার আবেদনপত্রে যদি কোনও অতিরিক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আরও বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার আবেদনপত্রটি কোনও বিশেষ বিভাগের তদন্তের জন্য পাঠানো হয়, তাহলেও আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করলে, আপনার আবেদনপত্রটি কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং সিটিজেনশিপ (IRCC) বিভাগের ঢাকাস্থ ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে। আপনার আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর, IRCC বিভাগ আপনার আবেদনপত্রটি মূল্যায়ন করবে এবং আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত নেবে।
আপনার কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদনপত্রটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
- আপনার আবেদনপত্রটি সম্পূর্ণ এবং সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- আপনার আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র জমা দিন।
- আপনার আবেদনপত্রের সাথে একটি সম্পূর্ণ এবং তথ্যপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন নোট লিখুন।
আপনার কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদনপত্রের অবস্থান জানতে, IRCC বিভাগের ওয়েবসাইটে “ট্র্যাক মাই অ্যাপ্লিকেশন” অপশনটি ব্যবহার করুন।
কানাডা ভিজিট ভিসা ডকুমেন্টস
কানাডা ভিজিট ভিসা আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস প্রয়োজন:
- পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট অবশ্যই 6 মাস মেয়াদের হতে হবে এবং আবেদনের তারিখ থেকে কমপক্ষে 6 মাস মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টের সব পৃষ্ঠা, বিশেষ করে ভিসা পেজের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফর্ম: কানাডা ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং নাগরিকত্ব (IRCC) ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
- ব্যক্তিগত তথ্যের প্রমাণ: আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- অর্থনৈতিক অবস্থার প্রমাণ: আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ, সম্পত্তির দলিল ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- কানাডায় থাকার পরিকল্পনার প্রমাণ: আপনার ট্রিপের টিকেট, হোটেল বুকিং, ভ্রমণ পরিকল্পনা ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ব্যবসায়ীদের জন্য: আপনার ব্যবসায়িক নিবন্ধন, আয়ের সার্টিফিকেট, ব্যবসায়িক সম্পর্ক ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- চাকরিজীবীদের জন্য: আপনার চাকরির প্রমাণপত্র, বেতন স্লিপ, চাকরির চুক্তি ইত্যাদির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
এছাড়াও, আপনার আবেদনের সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে আপনি নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস জমা দিতে পারেন:
- আপনার পরিবারের সদস্যদের আবেদনপত্র: আপনার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা দিলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
- আপনার কানাডায় থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি চিঠি: আপনি কানাডায় কেন যেতে চান এবং আপনার ট্রিপের সময় আপনি কী করবেন তা সম্পর্কে একটি চিঠি লিখে জমা দিতে পারেন।
- আপনার কানাডায় থাকার সময়ের জন্য একটি স্বাস্থ্য বীমা পলিসি: কানাডায় থাকার সময়ের জন্য একটি স্বাস্থ্য বীমা পলিসি থাকলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
আপনি কানাডা ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং নাগরিকত্ব (IRCC) ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদনের বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদন ফি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য CAD100 এবং একজন শিশুর জন্য CAD50। আপনি IRCC ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে পারেন।
কানাডা ভিজিট ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া সাধারণত 2-3 সপ্তাহ সময় নেয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে আবেদনের প্রক্রিয়া আরও বেশি সময় নিতে পারে।
কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় কত দিন থাকা যায়
কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় সর্বোচ্চ ছয় (৬) মাস থাকা যায়। তবে, ভিসা আবেদনের সময় আপনি কতদিন থাকতে চান তা উল্লেখ করতে হবে। ভিসা অফিসার আপনার আবেদন পর্যালোচনা করে আপনার আবেদন অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করবেন।
কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় সাধারণত সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হয়। অর্থাৎ, আপনি একবার কানাডায় প্রবেশ করার পর পুনরায় কানাডায় প্রবেশের জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসাও দেওয়া হতে পারে।
কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসায় থাকার সময় আপনি কানাডায় কোনো ধরনের চাকরি করতে পারবেন না। তবে, আপনি কানাডায় অবস্থিত আপনার পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পারেন।